আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে। অনুমতি মিলেছে আমদানির। ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য (সুতা ও আলু ব্যতীত) এবং ভারত থেকে ৬০টি পণ্য আমদানি করা হবে এই পথ দিয়ে।
গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এই রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আন্ত:সীমান্ত যোগাযোগের এক নতুন যুগে পৌঁছেছে বাংলাদেশ-ভারত সর্ম্পক। তবে এই রেলপথে শুরুতে কোন যাত্রী পারাপার হবে না। শুধুমাত্র দু’দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হবে। তার জন্য এবার অনুমতি মিলেছে ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য (সুতা ও আলু ব্যতীত) ও ভারত থেকে আমদানি করা হবে ৬০টি পণ্য। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিত সবধরনের পণ্য এই রেলপথ দিয়ে রপ্তানি করা যাবে।
অনুমোদিত আমদানিযোগ্য পণ্য হলো-গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফল-মূল, গাছ, বীজ, চাল, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলকে, কোয়ার্টজ, শুঁটকি মাছ, সাতকরা, আগরবাতি, জিরা, তরল রাবার, মেইজ, বড় পাথর, সয়াবিন বীজ, বাঁশ জাতীয় পণ্য, অর্জুন গাছের পাউডার, পান, সিএনজি অটোরিকশার পাটর্স, কাজুবাদাম, কাগজ, চিনি, জেনারেটর, ভাঙ্গা কাঁচ, চকোলেট, বেবি ওয়াইপার, কনফেকশনারি দ্রব্যাদি, বিটুমিন, পান, টমেটো, মেথি বীজ, শুকনা তেঁতুল, শুকনা কুল, ফ্লাই অ্যাশ, সকল প্রকার খৈল, ফায়ার ক্লে, থান ক্লে, মার্বেল চিপস, তিল, সরিষা, সুপারি, স্ক্র্যাপ অ্যান্ড ওয়েস্ট (আয়রন/স্টিল), গ্রানাইট স্ল্যাব, ডাল, গমের ভুষি, ছোলা ও বাঁশ। তবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ইতোপূর্বে এসব পণ্য আমদানির অনুমোতি ছিল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারির কারণে ব্যবসায়িদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ বেড়েছে। রেলপথের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই রেলপথের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।