অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খানের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ আসর চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে গুণী এই সংগীত পরিচালকের নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সংগীত অঙ্গনের আলোকিত সব মুখ।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। তিনি বলেন, পবিত্র হজ ও জুমার দিনে আলম খান চলে গেলেন। তার এই মৃত্যু শান্তির। তিনি যেসব কালজয়ী গান আমাদের উপহার দিয়েছেন সেগুলো আজীবন মানুষ মনে রাখবেন।
৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন আলম গান। ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’এর মতো গানের সুর স্রষ্টা তিনি। তবে পাননি একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক।
আলম খানের পুত্র আরমান খান বলেন, একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার ছিল। কিন্তু এটা হয়নি। তবে তিনি সংগীতের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। কারণ তিনি সংগীতের একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে যারা গান করছেন তার গানগুলো অবশ্যই সুর ঠিক রেখে তার নামটি রেখে গান করুক। বাবার জন্য সবার কাছে মনখুলে দোয়া চাই। সবার কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
আলম খানের জানাজায় এসেছিলেন শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, নকিব খান, মানাম আহমেদ, জয় শাহরিয়ার থেকে কনক চাপা। শিল্পী সমিতির ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ, পরিচালক সমিতির সোহানুর রহমান সোহানসহ গীতিকার আসিফ ইকবাল, ইজাজ খান স্বপন, কবির বকুল, রবিউল ইসলাম জীবন, মাহমুদ মানজুরসহ সংগীত সংগীত বহু মানুষ।
জানাজা শেষে আলম খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র আরমান খান জানান, দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে মোহাম্মদপুরে। সেখান থেকে রাতেই আলম খানের মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে শ্রীমঙ্গলে নেয়া হবে।
শনিবার শ্রীমঙ্গলের আউলিয়া হযরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
শুক্রবার বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান আলম খান। তিনি দীর্ঘদিন ক্যানসারসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।