চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ফ্লাইট পরিচালনার চূড়ান্ত অনুমোদন পেল এয়ার অ্যাস্ট্রা

বাংলাদেশের আকাশে ফ্লাইট পরিচালনার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান এয়ার অ্যাস্ট্রা।

বৃহস্পতিবার ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে ফ্লাইট পরিচালনার এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সার্টিফিকেটটি পাওয়ার ফলে ফ্লাইট পরিচালনায় আর কোনো বাধা নেই।

এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও একাউন্টেবল ম্যানেজার ইমরান আসিফ এর কাছে এওসি হস্তান্তর করেন বেবিচক এর ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে এয়ার কমোডর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী সারা দেশে নিরাপদ ও দক্ষ ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জিডিপিতে অবদান রাখার জন্য এয়ার অ্যাস্ট্রাকে ইন্ডাস্ট্রিতে স্বাগত জানান। আবেদনের এক বছরের মধ্যে বেবিচক এর নিয়মনীতি গুলো ধারাবাহিকভাবে মেনে চলার জন্য এবং ২০১৪ সালের পর প্রথম যাত্রীবাহী এয়ারলাইন হিসেবে এওসি পাওয়ায় তিনি এয়ার অ্যাস্ট্রাকে ধন্যবাদ জানান।

এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও বেবিচক কর্তৃপক্ষকে তাদের ক্রমাগত সহায়তা এবং নির্দেশনা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান, যা এয়ারলাইনটিকে সমস্ত নিয়ম মেনে এওসি অর্জন করতে সহায়তা করে। তিনি কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন যে এয়ার এ্যাস্ট্রা সবসময় পেশাদার কর্মীদের মাধ্যমে যাথাযথভাবে কাজ করার চেষ্টা করবে এবং সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে চলবে, বিশেষ করে নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনার সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো।

এয়ার অ্যাস্ট্রা এরই মধ্যে ঢাকায় দুটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট ডেলিভারি নিয়েছে এবং আরও দুটি এয়ারক্রাফট চলতি বছরের মধ্যেই ডেলিভারি নেবে। ফ্রান্সে নির্মিত এটিআর ৭২-৬০০ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক টার্বোপ্রপ প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্য এয়ারক্রাফট। এয়ারক্রাফটির আরামদায়ক কেবিন ৭০ জন যাত্রী বহন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এওসি অর্জনের পর এয়ার অ্যাস্ট্রা শীঘ্রই বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য অফিসিয়াল ফ্লাইট সময়সূচী ঘোষণা করবে।

এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ বলেন, এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রাথমিক পার্কিং স্টেশন হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তবে সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিকল্প স্টেশন হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে রাতে সিলেট বিমানবন্দরে এয়ারক্রাফটগুলো রাখা হবে।

এয়ার অ্যাস্ট্রা জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের সব অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। তবে অগ্রাধিকার থাকবে কক্সবাজার ও সিলেটের মতো রুটগুলো।

বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চারটি উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার কথা জানায় এয়ার অ্যাস্ট্রা। ইতোমধ্যে এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের দুটি এয়ারক্রাফট তাদের বহরে যুক্ত হয়েছে।

২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেবিচকের কাছে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি ও ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন জমা দেয় এয়ার অ্যাস্ট্রা। ৪ নভেম্বর তারা এনওসি পায়। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করলেও করোনা পরিস্থিতি এবং বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ রাখার স্থান সংকটের কারণে অপারেশন শুরু করতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।