মাঝে মাঝে মিরাকল হয় না, প্রার্থনাও হেরে যায় শারীরিক লড়াইয়ের কাছ। তেমনি ঐন্দ্রিলাও হেরে গেল জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে। তার সেই সমস্ত লড়াইয়ে পরিবার ছাড়া যে মানুষটি তার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন, তিনি হলেন অভিনেত্রীর বন্ধু ও প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।
তবে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার লড়াইটা দিনে হয়তো গোনা সম্ভব নয়। প্রিয়জনকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। তাইতো সকলের উৎকণ্ঠা, অভিনেতা কেমন আছেন? আর সেই খোঁজই দিলেন সব্যসাচীর কাছের বন্ধু ও অভিনেতা সৌরভ দাস।
সৌরভের কথায়, ‘‘সব্য ভেঙে পড়েছে। কেমনই বা থাকবে এই পরিস্থিতিতে! ঐন্দ্রিলার পরিবারও ভেঙে পড়েছে। তবে সব্যকে বলেছি, এক ফোঁটা চোখের জল না ফেলতে। ওকে সামলাতে হবে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে। সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও কিছু লিখবে না। কারণ মিষ্টির (ঐন্দ্রিলা) কথাতেই ও লিখতে শুরু করে। ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর ভাগ করে নিচ্ছিল সকলের সঙ্গে। যদি কেউ আশা করেন, ফেসবুকে কোন পোস্ট দেবে সব্য, তা আর হবে না।’’
২০১৭ সালে ঐন্দ্রিলার প্রথম ধারাবাহিক ‘ঝুমুর’-এর সেটেই প্রথম দেখা সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার। তবে সেই দেখাতেই যে তারা পরস্পরকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন, তা নয়। ‘প্রথম দেখায় প্রেম’-এ মোটেও বিশ্বাসী ছিলেন না ঐন্দ্রিলা। তা হলে কীভাবে শুরু হল রূপকথা?
শুটিং থেকে ছুটি পেলেই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে আড্ডা দিতেন ঐন্দ্রিলা। সেখানে থাকতেন সব্যসাচীও। তারপর ধীরে ধীরে ফোনে কথাবার্তা শুরু। সেখান থেকে আগায় তাদের সম্পর্ক। তারপর ৫ বছর বিভিন্ন চড়াই-উতরাই। অবশেষে সব্য’র হাত ছাড়লেন ঐন্দ্রিলা। থেকে গেল তাদের রূপকথার আখ্যান।
সূত্র: আনন্দবাজার