
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি এবং ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের কারণে গত বছর এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্য মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭ কোটি।
আলজাজিরা জানিয়েছে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে উন্নয়নশীল এশিয়ায় সাড়ে ১৫ কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হয়েছেন যা মহামারির আগের তুলনায় ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ জন বেশি।
২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, কারও দৈনিক জীবনযাত্রার ব্যয় যদি ২ দশমিক ১৫ ডলারের (২৩৫ টাকা) কম হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি চরম দারিদ্র্যের শিকার।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে চরম দারিদ্র্যের সংখ্যা ২০২১ এর তুলনায় এক কোটিরও বেশি সংখ্যক কমলেও তা এশিয়ার জন্য তেমন স্বস্তিকর হয়নি। কারণ বিশ্বের বৃহত্তম এই মহাদেশের দেশগুলোতে গত বছর থেকেই লাগামহীনভাবে বাড়ছে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।

নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির কারণে দারিদ্র্যে লোকজনের দৈনিক আয়ের একটি বড় অংশই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে।
এই বিষয়ে এডিবি’র প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেছেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ক্রমাগতভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে কিন্তু জীবনযাত্রার বর্ধিত সঙ্কট দারিদ্র্য দূরীকরণের যে অগ্রগতি তা হ্রাস করছে। দেশগুলোর এখন উচিত দারিদ্র্যতা কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীকে শক্তিশালী করা এবং বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।
বিজ্ঞাপন