অনেক কষ্টে আফগানিস্তানের মোট সংগ্রহ ‘সেঞ্চুরি’ ছুঁয়েছে। রানের চাকা ঘোরানোর চেষ্টা করছেন আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ও মুজিব উর রহমান। রান তোলার চেষ্টা করলেও সময়ের সাথে বাংলাদেশের পেস-স্পিন দুই বিভাগের কাছেই খাবি খেয়েছে সফরকারী দল।
আফগানদের ব্যর্থতার দিনে একাই লড়াই করছেন ওমরজাই। ওয়ানডেতে নিজের প্রথম অর্ধশতকের দিকে ছুটছেন। ৩০ বলে ৫ রান করে জিয়া উর রহমান আউট হয়ে ফিরেছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩৮ ওভারে ৮ উইকেটে ১০২ রান। আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ৫০ বলে ৪০ রান এবং মুজিব উর রহমান ১১ বলে ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
আব্দুর রহমান আউট হন সপ্তম ব্যাটার হিসেবে। শরিফুলের চতুর্থ শিকার সেটি। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন জিয়া উর রহমান, তাকে বোল্ড করেন তাইজুল।
এর আগে উইকেট তোলার জুটিতে যোগ দিয়ে ২২তম ওভারে স্পিনার তাইজুল ইসলাম বোল্ড করেন আফগান অধিনায়ককে। হাসমাতুল্লাহ শাহিদী করে যান ৫৪ বলে ২২ রান। যেটি সফরকারীদের ষষ্ঠ ব্যাটারের আউট।
১৫তম ওভারে এসে স্পিনার মিরাজের বলে একটি বাউন্ডারি মারেন নাজিবুল্লাহ। দলীয় সংগ্রহ ৩০ ছাড়ায় আফগানিস্তানের। পরের ওভারেই বাঁহাতি নাজিবুল্লাহকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রিভিউ নিয়ে শেষ রক্ষা পাননি বাঁহাতি ব্যাটার, করে যান ২২ বলে ১০ রান।
শুরুতে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরানকে শরিফুল ফেরান তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে। ৬ বলে ১ রান করে ফিরেছেন তিনি। গত ম্যাচে ২৫৬ রানের রেকর্ড গড়া উদ্বোধনী জুটি এবার ভাঙে ৩ রানে।
একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও শরিফুলের আঘাত, এবার ফেরেন তিনে নামা রহমত শাহ। টপ এজে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে, ৪ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন ডানহাতি ব্যাটার।
তাসকিনের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। ব্যাটে-বলে ঠিকভাবে না হওয়ায় বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক মুশফিক। ৬ রান করা গুরবাজের আউটে ১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারী দল। পরে মোহাম্মদ নবী ৯ বল খেলে ১ রানে সাজঘরে ফেরেন শরিফুলের বলে।