বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও দুরন্ত গতিতে ছুটে সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে দারুণভাবে টিকে আছে আফগানিস্তান। বিশ্বআসরে চমক দেখানো নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের হিসাব-নিকাশ জমিয়ে দিয়েছে হাসমতউল্লাহ শহিদীর দল।
শুক্রবার ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নেদারল্যান্ডস ৪৬.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে থামে। জবাবে আফগানরা ১৮.৩ ওভার হাতে রেখেই ৩ উইকেট খুইয়ে জয় নিশ্চিত করে।
সাত ম্যাচে চার জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে আফগানিস্তান। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিন ও চার নম্বরে আছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড।
সবার আগে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে আছে অপরাজিত ভারত। সমান ম্যাচ খেলে এক হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সাউথ আফ্রিকা। ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কা ৪ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে সপ্তম স্থানে আছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থাকায় আটে নেদারল্যান্ডস। সাত ম্যাচে একটি জয় নিয়ে টেবিলের নয়ে রয়েছে শেষ চারের লড়াই থেকে সবার আগে ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশ। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
১৮০ রানের সহজ জয়ের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। লোগান ফন বিকের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়ে ফেরেন ১০ রান করা রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহর সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন ইব্রাহিম জাদরান। ২০ রান করে তিনি রোয়েলফ ফন ডের মেরউইয়ের বলে বোল্ড হন।
রহমত এবং অধিনায়ক শহিদীর জুটি আফগানিস্তানকে জয়ের দিকে নিতে থাকে। তৃতীয় উইকেটে এ দুই ব্যাটার ৭৪ রান যোগ করেন। ফিফটি পাওয়ার পর রহমত ৫৪ বলে ৮ চারে ৫২ রান করে স্পিনার সাকিব জুলফিকারের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে … রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শহিদী। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া আফগান অধিনায়ক
ডাচদের পক্ষে ফন বিক, ফন ডের মেরউই ও জুলফিকার একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ডাচদের ইনিংসের শুরুতে টিপিক্যাল আফগান-বোলিংয়ের তোপে পড়েন দুই ওপেনার ওয়েসলি বারেসি এবং ম্যাক্স ও’ডাউড। ৪ বল খেলে ১ রান করে মুজিব উর রহমানের বলে সাজঘরে ফিরে যান বারেসি। কলিন অ্যাকেরম্যানের সাথে হাল ধরেন ও’ডাউড। সর্বোচ্চ ৬৯ রানের জুটি গড়ে ৪০ বলে ৪২ রান করে ফিরে যান ও’ডাউড।
পরে হাল টানতে থাকেন সাইব্রান্ড অ্যাঙ্গেলব্রাখট। সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে ডানহাতি ব্যাটারের থেকে, খেলেন ৮৬ বলের ধৈর্যশীল ইনিংস। অন্যদের আসা-যাওয়ার মাঝে রান আউট হওয়ার আগে ছোট-বড় ছয়টি জুটি গড়েন।
আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন স্পিনার মোহাম্মদ নবী। বাঁহাতি স্পিনার নুর আহমেদ ২টি এবং একটি উইকেট নেন আরেক স্পিনার মুজিব উর রহমান।