এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ম্যাচটি হারলেও আফগানিস্তানের বিপেক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজ ও শান্ত’র জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে টিম টাইগার্স। তবে ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, সুপার ফোর নিশ্চিতে নানা সমীকরণও মেলাতে হবে বাংলাদেশের।
বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করে টিম টাইগার্স। বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোতে সুপার ফোর নিশ্চিতের লক্ষ্যেও সহজ সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে টাইগার বাহিনী। আফগানিস্তানকে যদি ২৭৯ রানের মধ্যে আটকাতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সুপার ফোরে যেতে আর পরের ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না বাংলাদেশকে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান। ক্রিজে আছেন মোহাম্মদ নবী ৪ বলে ১ রান ও গুলবাদিন নাইব।
আফগানদের ব্যাটে পাঠিয়ে শুরুতেই চেপে ধরে তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারে বলে এসে দ্বিতীয় বলে রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে পেলেন শরীফুল। আম্প্যায়ার আউট না দিলে বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। ফলে দুর্দান্ত একটি সুযোগ হারায় সাকিবের দল।
এক বল পরেই ফের গুরবাজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে পেলেন টাইগার পেসার। এবার অবশ্য আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। আফগান ব্যাটার রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। গুরবাজ ফেরেন ৭ বলে ১ রান করে।
এরপর দলের চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। পাওয়ার প্লেতে টাইগার বোলারদের দেখে শুনেই খেলেন তারা। পরে হাত খোলেন জাদরান। গ্যাপ বানিয়ে কয়েকটি বাউন্ডারিও তুলে নেন। দুই ব্যাটারের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে চাপ কাটিয়ে তোলে আফগানিস্তান।
১৮তম ওভারে তাসকিনের বলে বোল্ড হন ডানহাতি টপঅর্ডার ব্যাটার রহমত শাহ। ৩৩ রান করতে রহমত ৫৭ বল খেলেন। ৭৯ রানে ২ উইকেট হারায় শহিদীর দল। এর আগে অবশ্য ফিফটি তুলে নেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
রহমত শাহ ফেরার পর হাসমতউল্লাহ শহিদীকে সঙ্গী করে চাপ কাটিয়ে তুলছিলেন ইব্রাহিম। ২৮.৩ ওভারের হাসান মাহমুদের বলে আউট সাইড এজের শিকার হন ইব্রাহিম। দুর্দান্ত ড্রাইভ দিয়ে বল তালুবন্দী করে আফগান ওপেনারকে ফেরান মুশফিক।
পরে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন হাসমতউল্লাহ। ৩৬.১ ওভারে দলীয় ১৯৩ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাজিবুল্লাহ। ২৫ বলে ১৭ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই শাহিদীকে ফেরান শরীফুল। ৬০ বলে ৫১ রান করেন আফগান অধিনায়ক।
৪০তম ওভারের শেষ বলে গুলবাদিন নাইবকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান শরীফুল। ১৩ বলে ১৫ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন আফগান অলরাউন্ডার।