পিছিয়ে পড়েও আধিপত্য দেখিয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তনের নজির গড়ে এএফসি কাপে মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এ জয়ের ফলে ডি-গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকছে বাংলাদেশের ক্লাবটি।
পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার উপরে বসুন্ধরা। এক ম্যাচ কম খেলে ৭ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উড়িষ্যা এফসি। সবার নিচে থাকা মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার পাঁচ ম্যাচে ৩ পয়েন্টে রয়েছে।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে বসুন্ধরাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মিগুয়েল ফেরেরা দামাসেনো। মাঝ মাঠে ডরিয়েলটনের কাছ থেকে বল নিয়ে সামান্য এগিয়ে যান মিগুয়েল। সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। সতীর্থদের নিয়ে করেন জয়ের আগাম উল্লাস।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ডি গ্রুপের ম্যাচের শুরুতেই রক্ষণভাবের ভুলে গোল হজম করে স্বাগতিক দল। ডি বক্সের ভেতর ভোজিস্লাভ বালাবানোভিকের নেয়া শট ডান পায়ে ক্লিয়ারে পুরোপুরি ব্যর্থ হন বোবুরবেক ইউলদাশভ। ফিরতি বল পেয়ে রেগান ওবেং ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করে মাজিয়াকে এগিয়ে দেন।
৪০ মিনিটে রেফারির সঙ্গে ফাউল নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন বসুন্ধরার ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। পরের মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে স্বাগতিক দল। সানডে উদোহর ডান পায়ে শটে ফিনিশিং করতে পারেননি। বল পোস্টের ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের অ্যাসিস্টে বল পেয়ে ডান পায়ে দুরহ কোণ থেকে শট নেন রাকিব। মাজিয়ার গোলরক্ষক হুসাইন শরীফ বল ঠেকিয়ে দেয়ায় এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অস্কার ব্রুজনের দল একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। খেলার ৪৭ মিনিটে ডরিয়েলটন নাসিমেন্তোর পাসে বল নেয়া বিশ্বনাথের কিক প্রতিহত করেন মাজিয়ার গোলরক্ষক। খানিক পর ববুরবেক ইউলদাশভের হেডে বল পোস্টের উপর দিয়ে যায়।
সানডে উদোহর পাসে বল পেয়ে ৫০ মিনিটে ডান পায়ের দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন বিশ্বনাথ। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাল অক্ষত রাখেন হুসাইন শরীফ।
৬৮ মিনিটে রাকিবের পরিবর্তে মাঠে নামেন রফিকুল ইসলাম। পরের মিনিটে অধিনায়ক সোহেল রানাকে বেঞ্চে বসিয়ে শেখ মোরসালিনকে খেলতে নামানো হয়।
জাতীয় দলের মতো ক্লাবের জার্সিতেও ফিনিশিংয়ে গড়বড় করে ফেলার ধারা অব্যাহত রাখেন মোরসালিন। সতীর্থ উদোহর বাড়ানো বল পান ১৮ বর্ষী ফুটবলার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও ৭৭ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। পোস্টের ডান পাশ একদম ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও তিনি সোজা শট নেন। মাজিয়া গোলরক্ষক বল ঠেকাতে সক্ষম হন।
তবে কিংস অ্যারেনার দর্শকরা দুই মিনিট পরই পেয়ে যান আনন্দের উপলক্ষ। মোরসালিনের কর্নার কিক নেন। উড়ে আসা বল জালে জড়িয়ে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান ববুরবেক ইউলদাশভ। এরপর ৮৫ মিনিটে মিগুয়েলের অভাবনীয় সেই গোলে বসুন্ধরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।