আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক যদি মানসিক রোগী হন তাহলে তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। যদি মানসিক রোগী না হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গত ১৫ নভেম্বর সাইবার নিরাপত্তা আইনে উত্তরার দক্ষিণখান থানায় আদম তমিজীর নামে মামলা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈম। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা রকম বিরূপ মন্তব্য করেছেন তমিজী। তিনি জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপ, মিথ্যা আক্রমণাত্মক তথ্য-উপাত্ত প্রচারের মাধ্যমে ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি’ দিয়ে আসছেন।
ডিবি প্রধান বলেন, ফেসবুক লাইভে এসে পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলাসহ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে আলোচনার জন্ম দেওয়া আদম তমিজী হককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয় তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্যোশাল মিডিয়াতে দেখাচ্ছেন। যে দেশে তার শিল্প কারখানা রয়েছে, তা দিয়ে তিনি চলেন, সেই দেশের পাসপোর্ট তিনি পুড়িয়ে ফেললেন। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এছাড়া তিনি অসংখ্য বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীও অভিযোগ করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে।
এরপরও আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো- কেন তিনি সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ও পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলে আনন্দ উল্লাস করছেন।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যদি মনে হয় আদম তমিজী হক মানসিকভাবে অসুস্থ তাহলে তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হবে চিকিৎসার জন্য। আর যদি তিনি ইন্টেনশনালি বাংলাদেশে বসে শিল্প কারখানা চালিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম শনিবার সন্ধ্যায় আদম তমিজী হককে গুলশানের বাসা থেকে আটক করা হয়।
গত ১৬ ও ১৭ নভেম্বর রাতে আদম তমিজি হকের গুলশান-২ এর ১১১ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় যায় র্যাব সদস্যরা।