আশির দশকের জনপ্রিয় নায়িকা নূতন মনে করেন, তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। তার কথা, তাদের মতো সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে ভাবা হয়না। এজন্য তাদের সিনেমায় দেখা যায়না। জীবনে সায়হ্ন কাটে বই পড়ে, গান শুনে, পরিবারকে সময় দিয়ে। তাদের কাজের তাড়না থাকলেও করা হয়ে ওঠে না।
নূতন আরও মনে করেন, এই দায় তার মতো সিনিয়র শিল্পীদের নয়। সিনেমা থেকে দূরে থাকলেও মাঝেমধ্যে এফডিসি আসেন নূতন। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরেও এসেছিলেন তার একসময়ের চিরচেনা কর্মস্থল এফডিসিতে। কোনো শুটিংয়ে নয়, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানাতে সামিল হয়েছিলেন নূতন।
পরে বসুন্ধরা, রাঙা ভাবী, বদনাম, মালা মতি, স্ত্রীর পাওয়া, সাহস, গাদ্দার’র মতো আলোচিত সব ছবির নায়িকা নূতন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমাদের মতো সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে কেন ছবি হচ্ছে না এ বিষয়ে সাংবাদিকদের লেখা উচিত। বোম্বে (মুম্বাই), কলকাতার সিনিয়র শিল্পীরা কতো ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছে। হলিউডে দেখি হিরো হিরোইনের যতো বয়স হয়, তাদের কাজ ও দাম বাড়তে থাকে। আর আমাদের এখানে উল্টো!
”বাংলাদেশে একটু সিনিয়র হলেই সরাসরি মায়ের চরিত্রে দেওয়া হয়। অনেক শিল্পী আছে না চাইলেও সিনেমা ভালোবাসে বলে মায়ের খাতায় নাম লেখায়। আমিও করেছি, সুচরিতা করেছে, ববিতা ম্যাডাম করেছে। কিন্তু এমন সিনিয়র শিল্পীদের কেন্দ্র করে কেউ গল্প ভাবছে না। আমি বলছি, সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে গল্প বানান, মানুষ সিনেমা হলে যেতে বাধ্য হবে। পাবলিক এখনো আমাদের দেখতে চায় কিন্তু আমরা বোঝাতে পারিনা, আমাদের নিয়ে গল্প ভাবেনা। অনেকে অল্প পয়সায় শর্টকাটে ছবি বানাতে চায়। সিনিয়র শিল্পীদের নিতে গেলে একটু তো পয়সা খরচ হবে তাই না?”
নূতন আরও বলেন, অনেক নতুন শিল্পী আসছে। যাদের অনেকের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। তাদের নিয়ে যেভাবে লেখালিখি হয় সেইভাবে কি আমাদের মতো সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে হয়? নতুন শিল্পী এলে মিডিয়া ঝাঁকে ঝাঁকে তার পিছনে দৌড়ায়। তাদের কীভাবে প্রেজেন্ট করতে হয় সেটা অনেকেই জানেনা। একবারও ভাবে না যার পিছনে ছুটছেন সে আদৌ এসব ডিজার্ভ করে কিনা! আমি প্রেসে বলতে চাই, আপনারা সিনিয়রদের নিয়ে কাজ করার জন্য লেখেন, তাহলে হয়তো টনক নড়বে।