ক’বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে সিনেমা ই হচ্ছে কম। যেগুলো হচ্ছে, তাতে তুলনামূলক নতুনদের সুযোগ নেই বললেই চলে! কাজের অভাবে অনেকে বেকার বসে থাকছেন! তবে এসব অজুহাত দিয়ে বসে থাকার পাত্রী নন নায়িকা তানহা তাসনিয়া।
নায়িকা হিসেবে ৫টি সিনেমা করা সত্বেও তানহা তাসনিয়া অভিনয়েই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। বড় পর্দায় সুযোগ কম, তাই বসে না থেকে ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করছেন এই নায়িকা।
গত ঈদে তানহা ‘হেতি খালি সন্দেহ করে’, ‘বড়বাপের বড় পোলা’, ‘বিএ পরীক্ষা’, ‘প্রেম বিরহী নেতা’, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘ভাইয়া’- নামে নাটকগুলোতে অভিনয় করেন। এছাড়া ‘টাকশাল’ নামে একটি ওটিটির কাজ করেছেন। ইতোমধ্যে ২০টির মতো নাটকে কাজ করে অন্যরকম পরিচিতি পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
চ্যানেল আই অনলাইনকে ‘ভালো থেকো’ ছবির নায়িকা তানহা তাসনিয়া বলেন, ‘পাঁচটা ফিল্ম করেছি। এখন সিনেমার আশায় বসে থাকাটা আসলে লস। অনেক অপেক্ষা করেছি, এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এখন মনে হলো শুধু শুধু বসে থাকার কোনো মানেই হয় না। তাই নাটকে কাজ করছি।’
“নাটক করে যা বুঝলাম যাদের ভিউ বেশী তাদের মার্কেট ভালো। তবে আমি যেহেতু ফিল্মের তাই নাটকে অ্যাডজাস্ট হতে একটু সময় লাগবে।” -বলছিলেন তানহা।
তানহা তাসনিয়া মনে করেন, নির্দিষ্ট কিছু আর্টিস্টদের ফিল্ম দেখতে দর্শক হলে আসছে এবং তাদের ফিল্ম হিট হচ্ছে। তিনি যেমনটা বললেন, ‘আমি যেহেতু একজন নায়িকা বা অভিনেত্রী, আমার ক্যারিয়ারই কয় বছর থাকবে? শুধু শুধু বসে থাকবো কেন? আমি একা ভালো ফিল্ম করতে চাইলে হবে না, সবার সমন্বয় এবং ব্যাটেবলে মিলতে হবে। আমি মনে করি, নাটক সিনেমার পার্থক্য না দেখে একজন আর্টিস্টের সবখানে কাজ করা উচিত। আমিও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
সিনেমার নায়িকা হয়ে নাটকে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তানহা বলেন, ‘সবাই মনে করে ফিল্মের নায়িকা নাটকে রিয়েলিস্টিক অভিনয় করতে পারবো কিনা! সিনেমার নায়িকারা অনেক টাকা নেয় এটা অনেকে মনে করে, যা সত্যি না। এগুলো ফেইস করছি। আমার মনে হয় এই ধারণাটা নেগেটিভ। অনেকেই আমাকে কাজে নেয়ার আগে যে ধারণা পোষণ করে কাজ করে তার উল্টো অভিজ্ঞতা হয়। একাধিক পরিচালক আমার কাজে ইমপ্রেসড হয়ে তাই বলেছেন।’
সিনেমার নায়িকাদের নিয়ে আরও কিছু ‘নেগেটিভ রিউমার’ আছে যা কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বলে মনে করেন তানহা তাসনিয়া। তিনি বলেন, ‘নাটকের মানুষরা যদি ফিল্ম করতে পারে তাহলে ফিল্মের মানুষরা কেন নাটক ওটিটি করতে পারবে না? এখন তো গ্লোবালি ওপেন প্লাটফর্ম। দর্শক যদি সারা বছর সিনেমা হলে আসতেন তাহলে না হয় ফিল্ম বা নাটক ওটিটিকে আলাদা করা যেত। কিন্তু তা তো হচ্ছে না।’