প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর জন্মদিন বুধবার (৩ নভেম্বর)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন এ নায়িকা! দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ নায়িকার ভক্তরা নিজেদের মতো জন্মদিনের কেট কাটছেন। ভক্তদের এই ভালোবাসা ছুঁয়ে যাচ্ছে মৌসুমীর হৃদয়।
জন্মদিনের দুপুরে প্রায় প্রতিবারই চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘তারকা কথন’-এ উপস্থিত হয়ে কেক কাটেন মৌসুমী। কিন্তু এবছর মেয়ের সাথে সময় কাটাতে দেশের বাইরে আছেন তিনি। সরাসরি না থাকলেও চ্যানেল আইয়ের এই অনুষ্ঠানে এদিন মৌসুমীকে স্মরণ করা হয়। সেই সঙ্গে এদিন ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেন মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসার পেছনের মানুষ নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান।
এই নির্মাতার হাত ধরেই মৌসুমী প্রথম চলচ্চিত্রে পা রাখেন। সালমান শাহ’র বিপরীতে সেই সিনেমাটির নাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। মুক্তির পর ছবিটি তুমুল হিট হয়, সেইসঙ্গে ঢাকাই সিনেমায় এই এক ছবি দিয়েই নিজেদের দৃঢ় অবস্থান তৈরী করেন মৌসুমী। অথচ প্রথমে মৌসুমী ই নাকি চাননি সিনেমায় আসতে!
হ্যাঁ, মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে আনতে বহু কাঠখড় পুড়িয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান। অতীত দিনের কথা স্মরণ করে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এর এই নির্মাতা।
জানালেন, মৌসুমীকে প্রথম আবিষ্কার করি পত্রিকার পাতায়। ‘দৈনিক বাংলা’ নামে তখন একটি পত্রিকা ছিলো, আমি এফডিসিতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম আর পত্রিকায় চোখ বুলাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি একটি মেয়ের ছবি। দেখে মনে হলো একে দিয়ে ছবিতে কাজ করানো যায়। কিন্তু মেয়ের ঠিকানা তো জানি না। সেই সময় বিনোদনে কাজ করতো এখনকার নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার। তাকে বললাম মেয়েটার ঠিকানা যোগার করতে। সাক্ষাৎকার নিবে বলে গুলজার মেয়েটার সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করলো। নির্মাতা পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটার সাথে দেখা করলাম। সামনাসামনি দেখে ও কথা বলে মেয়েটাকে আরো পছন্দ হলো। এরপরে কীভাবে যেন তার পরিবারের সাথে একটা দুর্দান্ত সম্পর্ক হয়ে গেলো। সম্পর্ক সহজ হলে তাকে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব করলাম। কিন্তু কিছুতেই রাজি হলো না। হঠাৎ একদিন রাত তিনটার দিকে ল্যান্ডফোনে কল করে আমাকে বললো,‘সোহান ভাই, আমি সিনেমা করতে চাই।’।
এরপরের ইতিহাসতো সবারই জানা। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এর পর সবার প্রিয় অভিনেত্রীতে পরিণত হন মৌসুমী। ‘প্রিয়দর্শিনী’ শব্দটি উচ্চারিত হতেই কল্পনায় এখন তার ছবি ভেসে উঠে!