সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে গেল বছর থেকেই সংবাদ শিরোনামে বলিউড সুন্দরী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। ইতোমধ্যেই ২০০ কোটি রুপি আর্থিক প্রতারণার মামলায় ইডির চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় নাম উঠেছে এই অভিনেত্রীর। এবার এই মামলায় বিপদে পড়লেন বলিউডের আরেক সুন্দরী নোরা ফাতেহি।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে দামী-দামী উপহার নেওয়ার অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে নোরার বিরুদ্ধে। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বলিউডের ‘সাকি’ গার্লকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলো দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস। জানা গেছে, এদিন সাত ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে নোরাকে।
সূত্রের খবর অনুসারে, এদিন নোরাকে ৫০টিরও বেশি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন তদন্তকারীরা। কী কী উপহার সুকেশের কাছ থেকে পেয়েছেন নোরা? কার সঙ্গে নোরার কথা হত? কীভাবে সুকেশের সঙ্গে তার পরিচয়? তারপর সম্পর্ক কেমনভাবে এগোল? এই সব তথ্য জানতে চায় পুলিশ। নোরা জানিয়েছেন, জ্যাকুলিনের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। আলাদা আলাদাভাবে তাদের সুকেশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করছেন নোরা, সূত্রের খবর অনুসারে এমনটাই জানা গেছে।
‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় ইডির কর্তাব্যক্তিদের সামনে আগেই বয়ান নথিভুক্ত করেছেন নোরা, তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। এর আগে গত মাসেই এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জ্যাকুলিনকে অভিযুক্ত হিসাবে পেশ করেছে ইডি।
দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস-এর তরফে দায়ের এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, পাশাপাশি নিজেদের তদন্ত জারি রেখেছে দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস। ফলে মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় অভিযুক্ত জালিয়াত সুখেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি এবং দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস। – ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস