তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপ থেকে এখনও অলৌকিক সব উদ্ধারের খবর আসছে। এরমধ্যে আদিয়ামান শহরে ৪ দিন আটকে থাকা কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল।
ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। ভূমিকম্পের পর ৫ দিন পেরোলেও তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত উদ্ধার হচ্ছে মানুষ। বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যাওয়া সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল আদিয়ামান শহরে ৪ দিন আটকে থাকার পর এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সাথে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এই তথ্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সফল উদ্ধারের এমন আরও খবর আছে। হাতায় প্রদেশে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার হয়েছে নবজাতক শিশু ও তার মা। সিরিয়ার জাব্লেহ শহর থেকে ১১০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৩ জন। উদ্ধারকাজের পঞ্চম দিনে সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে মোট ৯ শিশু। ভূমিকম্প পীড়িতদের জন্য তুরস্কে অস্থায়ী আশ্রয়শিবির স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবশেষে দেশটির বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে বাশার আল আসাদের সরকার। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর লাগাতার আহ্বানের পর এই সিদ্ধান্ত এলো। সিরীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় প্রায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।