আর্থিক অনিয়মের দায়ে ফিফার দেয়া দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি সোহাগের সাথে কাল রাতে কথা বলেছি। সে উপলব্ধি করছে, তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমাকে বলেছে, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করবে।’
এদিকে, ফিফার দেয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে বাফুফে কোনো ব্যবস্থা না নিলেও বাফুফে ভবনে তার অফিস কক্ষের দরজার সামনে থেকে নামফলক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সূত্র বলছে, ফিফার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখেই নাকি এমনটা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেন ‘ফিফার সিদ্ধান্তের পরে কি পদক্ষেপ নেবে তার জন্য দুই-তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার ফিফা খুলবে। ফিফার সাথে কথা বলে পরেরদিন আমরা নিজেরা সভা করে আপনাদের ব্রিফ করে বিস্তারিত জানাব। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আর বোর্ড সদস্যদের নিয়ে বসে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।’
ফিফার স্বাধীন এথিকস কমিটি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্থিক অনিয়ম লুকাতে মিথ্যা তথ্য দেয়ার দায়ে নাঈম সোহাগকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সঙ্গে ১০ হাজার সুইস ফ্র্যাঙ্ক বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ লাখ জরিমানাও করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিফা থেকে পাওয়া ফান্ডের খরচের হিসাব দিতে ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। ফান্ডের অর্থ খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে বাফুফের দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে ফিফার তদন্তে এবং শুনানিতে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সোহাগের বিরুদ্ধে সাধারণ আর্টিকেল ১৫ এর দায়িত্বে অবহেলা, ১৫’র সততা ও ২৪’র জালিয়াতি এবং মিথ্যাচারের কারণ দেখানো হয়েছে।