বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার ২০ মে জুমার নামাজের পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্রিকলেন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ আলতাফ আলী পার্কে, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার স্মৃতির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশ বিমানের কার্গো ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। শেষ শ্রদ্ধা জানানো ও দাফনের জন্য বাংলাদেশে আনা হবে অমর একুশের গানের এ রচয়িতার মরদেহ।
দেশে ফেরানো হলে ভাষাসংগ্রামী আবদুল গাফফার চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জানান, আবদুল গাফফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হবে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ লন্ডনের বারনেট হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ১৯ মে ভোরে লন্ডনের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম ১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪। একজন সুপরিচিত বাংলাদেশি গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।
বরিশাল জেলার উলানিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনরা হলেন মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম।