নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে আবাহনীর দেয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুতেই আউট প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার তামিম ইকবাল। জাকির হাসান, শাহাদাত দীপুও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। পঞ্চাশের আগে তিন উইকেট হারানোর পর পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ৫ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম। মি. ডিপেন্ডেবলের ১০৫ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংসও পারেনি দলকে জেতাতে।
মিরপুরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর কাছে ৫৮ রানের বড় ব্যবধানেই হেরেছে তামিমের নেতৃত্বে থাকা প্রাইম ব্যাংক। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিবের পেস তোপে ইনিংসের ২ বল আগে ২৮৩ রানে গুটিয়ে যায় ক্লাবটি।
হারের ম্যাচে মুশফিক পান লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের ১৫তম সেঞ্চুরি। ১৪টি চারে সাজান ইনিংস। নবম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেন শেষ পর্যন্ত। দলটির ওপেনার ইমন ৭০ বলে ৫৬ রান করেন। অভিজ্ঞ মুশফিকের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৩ রান। তা অবশ্য ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব রাখতে পারেনি। শেষদিকে হাসান মাহমুদ ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে হারের ব্যবধান আরও কিছুটা কমান।
সেঞ্চুরির পর বল হাতেও একটি সাফল্য পান আবাহনী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে পান আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকা হাসানের উইকেট।
সোমবার সকালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই একশ পেরোয় আবাহনী। ৭৩ বলে ৪৫ রান করে এনামুল হক বিজয় ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর নাঈম ও শান্ত দলকে নিয়ে যান দুইশর কাছে। দলীয় ১৯৯ রানে নাঈম আউট হন। ১০৪ বলে খেলে যান ১০৫ রানের ইনিংস।
শান্ত ৮৫ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলে বড় সংগ্রহের পথ রচনা করেন। এরপর তাওহীদ হৃদয়ের ৩৫ বলে ৬৫ রানের ক্যামিওতে সাড়ে তিনশর কাছে চলে যায় আকাশী-নীলদের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রানের পুঁজি গড়ে আবাহনী।
পেসারদের ওপরই বেশি চড়াও হন আবাহনী ব্যাটাররা। হাসানের ১০ ওভার থেকে তোলে ৭৬ রান। যদিও দুটি উইকেট নেন এই পেসার। রেজাউর রহমান রাজা ৭ ওভারে দেন ৭৬ রান। নেন একটি উইকেট।