আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৈঠকে সমস্ত বিধায়কদের উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে আম আদমী পার্টি (আপ) নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই অভিযান ও দিল্লী সরকারে উৎখাতে বিজেপি’র ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে খবর। সেই সঙ্গে শুক্রবার বসতে চলেছে দিল্লী বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন।
দিল্লী সরকার উৎখাতে বিজেপি’র প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা রণকৌশল নিতে চলেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবনে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক বসতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সিবিআই-ইডি অভিযানের পাশাপাশি বিজেপি দল ভাঙানোর যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে, দল ছাড়তে বিজেপি’র পক্ষ থেকে আপ বিধায়কদের অর্থের প্রলোভন আর হুমকি নিয়ে বুধবারও সরগরম হয় দিল্লী। মণীশ সিসোদিয়া ছাড়াও আর চার বিধায়ককে বিজেপিতে যোগদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে চলছে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ। এমন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১১টায় দিল্লী বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের বসতে চলেছে।
দিল্লী বিধানসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশন নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। এই বিশেষ অধিবেশন ডেকে দলের পক্ষে কতজন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, তা যাচাই করাই কেজরিওয়ালের লক্ষ্য বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কেননা, বিজেপি’র এই দল ভাঙানোর চেষ্টা যে যথেষ্ট চিন্তার বিষয়, তা মেনে নিয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকও ডাকেন কেজরিওয়াল। এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা আপ নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিজেপি যতই অর্থের প্রলোভন দেখাক না কেন, দলের ঐক্য অটুট বলে দাবি করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। বিজেপি’র এই দল ভাঙানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ বলে মনে করছে তারা। আপ বিধায়করা কোনও দিনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না বলে নেতৃত্বের দৃঢ় বিশ্বাস।
আবগারি দুর্নীতিতে বেকায়দায় পড়ে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যার রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপিও। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রলোভনের অভিযোগও অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। দল ভাঙানো নিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে ভারতের জনগণ।