নতুন একটি গবেষণা বলছে, নারীর অশ্রুর ঘ্রাণ পুরুষের আগ্রাসী মনোভাবকে কমাতে পারে।গবেষকেরা বলছেন, নারীর কান্নার ঘ্রাণে পুরুষের আগ্রাসী মনোভাব অন্তত ৪৪ শতাংশ কমে আসে।
সংবাদমাধ্যম ডয়েচ ভেলের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের জীববিজ্ঞানের সুপরিচিত বৈজ্ঞানিক জার্নাল পিএলওএস বায়োলজির একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পুরুষের মস্তিষ্কের যে অংশটি তাকে আক্রমণাত্মক করে তোলে; নারীর কান্নার ঘ্রাণ সেই অংশকেই দুর্বল করে দেয়। মানুষ কেন কাঁদে, তার একটি ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়ে এই গবেষণায় বলা হয়েছে, কান্না সম্ভবত পরিস্থিতিকে শান্ত করার একটি জৈবিক কৌশল।
এই গবেষণাটির মূল লক্ষ্য ছিল পরিস্থিতি শান্ত করার ক্ষেত্রে কান্নার ক্ষমতা পরীক্ষা করা। সেজন্য ৬ জন নারীর কাছ থেকে অশ্রু সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকেরা। ওই ৬ নারীর সঙ্গী পুরুষদের একটি ভিডিও গেম খেলতে দেওয়া হয়, যা তাদের আগ্রাসী মনোভাবকে আরও উসকে দেয়। পুরুষেরা ভিডিও গেমটি খেলেছিলেন একটি এমআরআই স্ক্যানারের মধ্য দিয়ে। এই স্ক্যানার দিয়ে তাদের ব্রেইনের কার্যকলাপগুলো মাপছিলেন গবেষকেরা।
দেখা গেছে, নারীদের কান্নার ঘ্রাণ পেয়ে গবেষণায় অংশ নেওয়া পুরুষদের আগ্রাসী আচরণ ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। ব্রেইন ইমেজিং পরীক্ষায় দেখা গেছে, কান্নার ঘ্রাণ পেয়ে পুরুষের আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত ব্রেইনের অংশটিও তার কার্যকলাপের মাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও পুরুষ যখন আবেগ আক্রান্ত নারীর অশ্রুর ঘ্রাণ পায় তখন তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়। ফলে যৌনতার প্রতি আগ্রহও কমে আসে।