এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে জেঁকে বসতে যাচ্ছে হাড়কাঁপানো শীত। আবহাওয়া বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে দেশে একটি মৃদু থেকে মাঝারি মানের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে এই শৈত্যপ্রবাহ তীব্র রূপ নিতে পারে।
আজ (২৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিডব্লিউওটি জানায়, বর্তমানে দেশের অনেক জায়গায় যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাকে সরাসরি শৈত্যপ্রবাহ না বলে ‘কুয়াশাবেল্ট প্রবাহ’ হিসেবে চিহ্নিত করছে বিডব্লিউওটি। এই অবস্থায় ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো দেখা যায় না বললেই চলে। তবে আসন্ন শৈত্যপ্রবাহের বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। এতে রাতে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গেলেও দিনের বেলা রোদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই শৈত্যপ্রবাহ চলাকালীন দেশের বেশ কিছু এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। এছাড়া অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ শুরুর সম্ভাবনা ২৮ ডিসেম্বর। এর মূল সময়কাল ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি। শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপ দেশের সব জায়গায় সমান হবে না।
ভৌগোলিক কারণে কিছু এলাকা বেশি আক্রান্ত হবে। শৈত্যপ্রবাহের অধিক আক্রান্ত বিভাগ হবে- রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ। কম আক্রান্ত এলাকা- ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগ।দেশের সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চল এই শৈত্যপ্রবাহের আওতামুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ঢাকা শহরের মূল এলাকায় সরাসরি শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা কম।
বিভিন্ন শহরের অবকাঠামোগত কারণ ও তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে ঢাকা শহরে শীতের অনুভূতি বাড়লেও তা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে নাও পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে বিডব্লিউওটি।








