মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২য় ষান্মাসিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন: ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমাতে পারি নাই। কারণ অনেক তবে সেটা না বলে বরং চেষ্টা করছি অতি দ্রুত যাতে জুনের মধ্যে এটা কমিয়ে ৬ শতাংশ এর মধ্যে নামানো যায়।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনের ৫ম তলায় জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।
মুদ্রানীতি ঘোষণার পর গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতী ৬ শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। এবারের মুদ্রানীতিতে ৪টি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং পলিসি করা হয়েছে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে এই মুদ্রানীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়া মূল্যস্ফীতী নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমলে অসুবিধা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য সংকোচন মূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করে গভর্নর দাবী করেছেন, আমদানিতে ডলারের দাম ১১০ টাকায় রাখা গেছে যা বিশ্বের অন্নেক দেশের তুলনায় এখনো কম, এসময়ে আমদানি কমেছে , রফতানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ ছিল ফলে রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে রাখা গেছে।
নিজের কাজে কোন ধরণের চাপ অনুভব করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমি কাউকে ভয় পাই না, স্বেচ্ছায় অর্থ সচিবের চাকরী ছেড়ে চুক্তিতে গভর্নরের দায়িত্ব নিয়েছি, কাজেই কোন চাপ বা অন্য কিছুর ভয় দেখিয়ে আমাদের দিয়ে কিছু করিয়ে নেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে কোন ব্যাংক বন্ধের সম্ভবনা উঠিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ৫২ বছরে দেশে কোন ব্যাংক বন্ধ হয়নি, আগামীতেও হবে না। তবে দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করে একীভূত করার পরিকল্পনা আছে।
ব্যাংকিং খাতে গ্রাহকদের আস্থার কোন সংকট নেই বলে এসময় মন্তব্য করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরবৃন্দ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা, চিফ ইকোনোমিস্ট, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্ররা।