টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাকীতে মাদক বিক্রি না করায় মাদক ব্যবাসায়ীকে তিন মাদকসেবী শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালে টাঙ্গাইলের পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানান ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নাগরপুর উপজেলার বীরসলীল গ্রামের সেচ পাম্পের ঘর থেকে ফরিদ উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিন বিকেলে ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা লিলি বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে নাগরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি পিবিআই গ্রহণ করে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর কৃষি জমিতে পানি দেয়ার জন্য ফরিদ উদ্দিন তার সেচ পাম্পের ঘরে যান। বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ফরিদকে সেচ পাম্পের ঘরে বিছানার উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে বিষয়টি তার পরিবার ও পুলিশকে জানালে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। মামলার পর তদন্ত করে মঙ্গলবার রাতে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধী দিতে রাজি হয়েছেন। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা গ্রামের মো. আনোয়ার তালুকদারের ছেলে মো. অলী তালুকদার (১৯), মৃত সিরাজ মন্ডলের ছেলে মো. কামাল হোসেন (২৯) ও শালিয়ারা গ্রামের মো. শফিকুল আলমের ছেলে মো. সোহানুর ইসলাম ফারদিন (২০)।
মোহাম্মদ সিরাজ আমীন বলেন, ফরিদ উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবার ব্যবসা করতো। ওই দিন আসামীরা তার কাছ থেকে বাকিতে ইয়াবা কিনতে যায়। বাকিতে দিতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
পরে ঘরে থাকা স্লেইডরেঞ্জ দিয়ে ফরিদের মাথার পেছনে আঘাত করলে সে পড়ে যায়। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফরিদের কাছে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট তারা নিয়ে যায় । এ ঘটনার সাথে তারা তিন জনই জড়িত।