ভারতের বিহারে চোলাই জাতীয় মদ খেয়ে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ২৫ জন। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। অথচ বিহার সরকার ২০১৬ সাল থেকে ওই রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়- লক্ষ্মীপুর, পাহা়ড়পুর ও মোতিহারির হরসিদ্ধি অঞ্চলে এই মৃত্যু ও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। জায়গাগুলো বিহারের রাজধানী পটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে এমন ঘটনার জন্য দোষারপ করা হচ্ছে। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন সম্প্রতি বিহারের সরন জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। ওই সময় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল।
এদিকে উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জানিয়েছিলেন সরকারকে অপদস্থ করার জন্যই ওই প্যানেল বিহারে এসেছিল। এদিকে এভাবে মৃত্যু মিছিল ও বিরোধীদের একের পর এক অভিযোগে কার্যত একটা সময় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পাল্টা বিরোধীদের দিকে অভিযোগ তুলেন।
সেই সময় নীতিশ কুমার জানান, যদি কেউ মদ খান তবে তার মৃত্যু হবে। সেই নজির আমাদের সামনে আছে। সেই জায়গাগুলোতে আমাদের যাওয়া দরকার। তাদেরকে ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলা দরকার। সেই সাথে বিধানসভায় তিনি জানিয়েছিলেন, যখন বিহারে মদ নিষিদ্ধ ছিল না, তখনও এখানে বিষাক্ত মদ খেয়ে মানুষ মারা যেত। মানুষের এনিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। এখানে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মদ একেবারেই বাজে জিনিস। এতে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।