তারেক মাসুদ ভালোবাসতেন চলচ্চিত্রকে। তাকে সিনেমাযোদ্ধা বললেও ভুল হবে না। খুব সাধারণ জীবনযাপন করা মেধাবী এই মানুষটি যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন লড়াই করে গেছেন সিনেমা নিয়ে।
বেঁচে থাকলে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এই গুণী নির্মাতার বয়স হতো ৬৬। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রয়াত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৫৬ সালের এই দিনে ফরিদপুরের ভাঙ্গার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মদিনে তাকে স্মরণ করছে চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষেরা। বিশেষ করে তরুণ সিনেমাকর্মীদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন এই নির্মাতা। পারিবারিক আয়োজন ছাড়াও তারেকের সিনেমা নিয়ে আলোচনার আয়োজন করছে চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠনগুলো।
আমেরিকায় বসে আরাম আয়েশে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারতেন তারেক মাসুদ। কিন্তু সিনেমার প্রতি প্রেম থেকে সে পথে না গিয়ে সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
মুক্তির গান, মুক্তির কথা, আদম সুরত, মাটির ময়না, অন্তর্যাত্রা ও রানওয়ে-এর মতো ছবি নির্মাণের মাধ্যমে তারেক মাসুদ বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন। প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে অস্কারে স্থান পেয়েছিল ‘মাটির ময়না’।
২০১১ সালে ১৩ আগস্টে ‘কাগজের ফুল’ এর শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে মানিকগঞ্জের জোকা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন।