কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে এক নলা একটি বন্দুক ও ধারালো রামদা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এ অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আটককৃতরা হলেন , সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ার মাহমুদুল হকের ছেলে মো. রাসেল (৩২), মাতারবাড়ি ইউনিয়নের নুরুল হোসনের ছেলে ওয়াজ উদ্দীন (২৭), আবুল হোসনের ছেলে মো. সাগর (২৫),আবুল হোসনের ছেলে আবদুল মালেক (৩৫), নাজিরের টেক এলাকার মিয়া হোসনের ছেলে রোহিঙ্গা শহিদ (২৩)।
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার এলাকায় জলদস্যুতা ফের বেড়েছে বলে অভিযোগ জেলেদের। গত একমাস ধরে মাছ ধরে ফেরা কিংবা মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। সবচেয়ে বেশি ডাকাতির শিকার হচ্ছে মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপকূলের ট্রলারসমূহ। জলদস্যুরা সোনাদিয়া চ্যানেলসহ সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ডাকাতি করে আসছিলো।
সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর কুতুবজুমের ঘটিভাঙ্গার আমির হোসেনের মালিকাধীন এফবি মায়ের দোয়াসহ ৪টি ট্রলারে ডাকাতি করে ১৫ জন জেলেকে আহত করে জলদস্যুরা। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও কোস্টর্গাড নিয়মিত তল্লাশীর পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান জারি রেখেছে।
এদিকে, সোনাদিয়ার বাসিন্দাদের দাবী মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু লোকজন সোনাদিয়া আশ্রয় নিয়ে সাগরে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপর্কম করছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হলে সাগর নিরাপদ থাকবে।
কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার ইউপি সদস্য একরাম মিয়া দাবি করেন: আটককৃতরা জলদস্যু। তাদের রিমান্ডে নিয়ে গেলে আরো সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে: সোনদিয়াসহ উপকূলের সব চ্যানেলে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ‘জেলেদের জন্য সাগর নিরাপদ রাখতে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে’ বলে উল্লেখ করেছেন মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই।