চুয়াডাঙ্গায় নরমাল ভেলিভারিতে একসাথে জন্ম নেওয়া ৪ শিশুর সবাই ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে।
জানা গেছে, জন্মের এক ঘণ্টা পরেই মারা যায় একটি ছেলে শিশু। আর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে মারা যায় আরও ৩ মেয়ে শিশু।
শিশুদের বাবা ইজিবাইক চালক ইমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে আমার স্ত্রী তসলিমা খাতুন (২৫) একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম দেয়। এর মধ্যে ছেলে সন্তানটি জন্মের কিছুক্ষণ পরই মারা যায়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে একে একে ৩ মেয়ে শিশু মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, সাধারণত কোন শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের পর জন্ম গ্রহণ করে ও তার ওজন ২-২.৫০ কেজি হয় তাকে আমরা পুষ্ট বাচ্চা বলি। এর চেয়ে কম হলে সেগুলো অপুষ্ট বাচ্চা। একসঙ্গে যে ৪ টা বাচ্চা জন্ম নিয়েছে তারা সময়ের ২ মাস আগেই জন্মগ্রহণ করেছে। তাদের ওজন ১.৫ কেজির মত বা তারও কিছু কম ছিল। যার কারণে তাদের ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ পরিপক্ব হয়নি। নিজে থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিলো না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ও আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। যতটা সম্ভব আমরা চিকিৎসা প্রদান করেছি। তারপরও তাদের বাঁচানো গেলো না।