অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং-২০২৪-এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৩৭৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৯০টি প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৪১হাজার ১০৪ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানের এ সূচকটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য মতে, ১২ ক্যাটাগরিতে গবেষকদের ভাগ করা হয়েছে।
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং-২০২৪-এর তালিকায় বাংলাদেশের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন শাবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের ৩৭৮জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের গত পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়।
এদিকে গবেষণায় চুরি ঠেকানো ও মান বজায় রাখতে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর শিক্ষকদের জন্য টার্ন-ইট-ইন (প্ল্যাগারিজম চেক) পদ্ধতির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় উৎসাহ বাড়াতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ কবির হোসেন। তিনি বলেন, ভাল গবেষণা একজন গবেষকের মান বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেশে আমাদের বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি। সবাইকে গবেষণামুখী করে তুলতে আমরা আরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি চ্যানেল আই-কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় গবেষণার বিকল্প নেই। শিক্ষকদের গবেষণা মৌলিক এবং বিশ্বমানের করতে প্রতিবছর গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানো হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মোট বাজেটের ৫ শতাংশ গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। গবেষণার মান নিশ্চিত করতে এখানে টার্ন-ইট-ইন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপাচার্য আরও বলেন, গবেষণা কর্মকে উৎসাহ দিতে অনেক ধরনের প্রণোদনা চালু করা হয়েছে। সবকিছু মিলে একটি চমৎকার গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।