চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রুপা হত্যা মামলা: ৪ ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য গ্রহণ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় চার ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনের সাক্ষী গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার আসামীদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধকারী চার ম্যাজিস্ট্রেট হলেন- আমিরুল ইসলাম, রুপম কান্তি দাস, শামছুল আলম ও গোলাম কিবরিয়া। অপর সাক্ষী পুলিশের কনস্টেবল মাহবুবুর রহমান।

বুধবার বেলা পৌনে ১২ টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ চলে সোয়া চারটা পর্যন্ত এ নিয়ে মামলার বাদিসহ ২৪ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছেন আদালত।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

নিহত রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী, সহকারি শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে রুপার লাশ দাফন করা হয়।