মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘাতের জেরে গত তিন দিনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ২৬৪ জন।
বিদ্রোহীদের তীব্র হামলার মুখে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে দফায় দফায় প্রবেশ করতে শুরু করেন বিজিপি সদস্যরা।
জানা গেছে, নতুন করে আশ্রয় নেয়াদের মধ্যে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য, সেনা সদস্য, কাস্টমস কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকলের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করছে বিজিবি। আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যের মধ্যে অনেকেই আহত। তাদের সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, গতকাল সোমবার দিনগত রাত পর্যন্ত ১১৫ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য, সেনাসদস্য আত্মসমর্পণ বা আমাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ সকালে ১১৪ জন ও দুপুরের পর আরও ৩৫ মিলে মোট ২৬৪ জনকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তাদের থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চলমান পরিস্থিতিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।