ভোর বেলা উঠে অধ্যাপক জাফর ইকবালের পাঠানো মেইলে এক লাইনের প্রশ্ন, ‘ডাজ নাদের চৌধুরী হ্যাভ মোশটাচ ইন দ্য মুভি?’ অর্থ্যাৎ ‘মুভিতে কি নাদের চৌধুরীর গোঁফ ছিলো?’
আলোচিত ছবি ‘ডুব’ নিয়ে এমনই মজার অভিজ্ঞতা নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেছেন তরুণ সংস্কৃতি ও গণজাগরণ মঞ্চ কর্মী সমুদ্র সৈকত। ‘ডুব’ নিয়ে ফেসবুকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের মন্তব্যটি শেয়ার করেন এভাবে, ‘হুমায়ূন আহমেদ একজন সেলেব্রিটি। একজন সেলেব্রিটিকে নিয়ে অনেকে অনেক কিছু করতে পারে। সেলেব্রিটি ও তার পরিবারকে তাই এরকম অনেক যন্ত্রণাই চুপ করে সহ্য করতে হয়!’
ফেসবুক পোস্টে সৈকত আরো লেখেন, ‘ডুব’ সিনেমা প্রসঙ্গে গতরাতে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ হয়েছিলো। এব্যাপারে জাফর স্যারের প্রথম কথা ছিলো- ‘এই মুভিতে কি আমার চরিত্রটি আছে?’ যেহেতু সিনেমাটি দেখিনি, তাই স্যারকে বলেছিলাম বিস্তারিত খবর নিয়ে জানাবো। তারপর সিনেমাটি সম্পর্কে স্যার বললেন-‘হুমায়ূন আহমেদ একজন সেলেব্রিটি। একজন সেলেব্রিটিকে নিয়ে অনেকে অনেক কিছু করতে পারে। সেলেব্রিটি ও তার পরিবারকে তাই এরকম অনেক যন্ত্রণাই চুপ করে সহ্য করতে হয়!”
এর কিছুক্ষণ পর পরিচালক ফারুকীর সিনেমার নিয়মিত দর্শক ও প্রথম দিনই ‘ডুব’ দেখে আসা Toji Islam-এর সাথে ফোনে ২১ মিনিট ধরে ‘ডুব’ নিয়ে কথা হলো। তোজি ইসলামের ভাষ্যমতে, সিনেমার নাদের চৌধুরীর চরিত্রটি জাফর স্যারের আদলে বানানো। এমনকি নাদের চৌধুরী অভিনীত চরিত্রটির কিছু বক্তব্য হুমায়ূন আহমেদ মারা যাবার পর জাফর স্যারের দেওয়া বক্তব্যের সাথে মিলে গেছে!
যা-হোক, জাফর স্যারকে ব্যাপারটা জানানোর পর বললাম- “স্যার, আপনাকে নিয়ে আমি যদি কোনোদিন এরকম একটি সিনেমা বানাই, তাহলে আপনার কি কোনো আপত্তি থাকবে?” জাফর স্যার আমার এই প্রশ্ন শুনে নীরব একটি হাসি দিলেন! নীরবতা সম্মতির লক্ষণ হিশেবে ধরে নিয়েছি আমি!! তবে, সবচেয়ে মজার ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকালে! ঘুম থেকে উঠেই দেখি স্যারের একটা ইমেইল এসেছে। তাতে লেখা, ‘‘মুভিতে কি নাদের চৌধুরীর গোঁফ ছিলো?”
অধ্যাপক জাফর ইকবাল প্রয়াত অধ্যাপক, জনপ্রিয় লেখক-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ এর ছোট ভাই। ২৭ অক্টোবর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’ ছবিটি মুক্তি পায়। যা হুমায়ূন আহমেদ এর ‘বায়োপিক’ বলে সমালোচিত হয়। তবে নির্মাতা শুরু থেকেই দাবী করে এসেছেন এটি কারো বায়োপিক নয়। ছবিটি সেন্সর বোর্ড এর কাঁচির তলে পড়ে বেশ অনেকখানি কর্তন করতে বাধ্য হয়।