২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের আসরেই গান থেকে অবসরের ঘোষষণা দিয়েছিলেন ‘ঠুমরির রাণী’ খ্যাত শিল্পী গিরিজিা দেবী। আর এবার জীবন থেকেই অবসর নিয়ে নিলেন এই গুণী মানুষটি।
সেনিয়া ও বানারাস ঘরানার প্রখ্যাত শিল্পী গিরিজা দেবী ৮৮ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত রোগে মঙ্গলবার কলকাতায় মারা গেছেন। উচ্চাঙ্গ সংগীতজগতের এই কিংবদন্তীর জন্ম হয়েছিল ১৯২৯ সালের ৮ মে। গিরিজা দেবীর সংগীতের হাতেখড়ি ছোটবেলায় নিজের বাবার কাছেই। খেয়াল এবং টপ্পা গানের চর্চা শুরু করেন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ও সারেঙ্গিবাদক সারজুপ্রসাদ মিশ্রের কাছে।
নয় বছর বয়সে ‘ইয়াদ রাহে’ নামক এক চলচ্চিত্রেও তাঁকে দেখা যায়। পরবর্তীতে চন্দ মিশ্রের কাছে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ধ্রুপদী গানের নানা শাখায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন গিরিজা দেবী। কলকাতার আইটিসি সংগীত একাডামি, বানারাস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মাধ্যমে নিজের সংগীত জ্ঞান বিলিয়ে গেছেন হাজারো শিক্ষার্থীর মাঝে।
কাজরি, চৈতি, হোলির মতো সেমি ক্লাসিকাল ঘরানা কিংবা ভারতীয় লোকগান, টপ্পা ও খেয়াল গানের উপরেও গিরিজার ছিল অসাধারণ দখল।
বাংলাদেশের বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবেও এসেছিলেন তিনবার। ২০১৬-এর উৎসবেই গান পরিবেশনা থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন গিরিজা দেবী।
‘ঠুমরির রাণী’ খ্যাত গিরিজা দেবীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সংগীতপ্রিয় সব মানুষ। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ পাওয়া গিরিজা দেবীকে স্মরণ করছে গোটা বিশ্ব। চ্যানেল আই অনলাইনের পাঠকদের জন্য থাকল গিরিজা দেবীর কন্ঠে পাঁচটি ঠুমরি গান-
নয়ন কি মাত মারো
আখিয়া রাসিলি তোরি শ্যাম
বাবুল মোরা
রাত হাম দেখলি
পিয়া নেহি আয়ে: