জমিজমা নিয়ে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের দ্বৈরথ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র অমর্ত্য সেনকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট লিখলে ওই ছাত্রকে সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনায় সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন ২৫০ জন শিক্ষাবিদ।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কিছুতেই এই বিতর্কের মধ্যে থেকে বের হতে পারছে না। আর সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। কখনও অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, কখনও রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সড়ক দাবি করে, কখনও পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করে, আবার কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করে বারবার সমালোচিত হয়েছেন উপাচার্য। তাই এবার ভারতের ২৫০ জন শিক্ষাবিদ চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে।
মূলত একজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করার জের ধরে এই চিঠি লেখা হয়েছে। ওই ছাত্রের অপরাধ ছিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থন করা। জমিজমা নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের দ্বৈরথ চলছিল, যা এখনও অব্যাহত আছে। এমন অবস্থায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কথা লিখেছিলেন সেই ছাত্র। আর তারপরই তাকে সাসপেন্ড করা হয়।
এমন চলতে থাকলে ছাত্রটির সেমিস্টার পরীক্ষা দেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে একটা এক বছরের ক্ষতি হয়ে যাবে তার।একজন উপাচার্য কেমন করে এমন কাজ করছেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারতে। এই সাসপেনশনের প্রতিবাদেই ভারতের ২৫০ জনের বেশি শিক্ষাবিদ সরাসরি চিঠি লিখলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। ছাত্রটির অপরাধ মারাত্মক না হওয়ায় চিঠিতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। যাতে ছাত্রটির বছর নষ্ট না হয়।
সাসপেন্ড করা ছাত্রটি স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তাকে আগাম কোন নোটিশ ছাড়াই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকী বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোন চার্জশিটও দেয়নি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সেমিস্টার ক্ষতি হয়ে যাওয়ার মানে একটা বছরের ক্ষতি হয়ে যাওয়া। তাই এটাকে ঠেকাতেই আবেদন করা হচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে।
এছাড়া ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নিজেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত। তাই ছাত্র সোমনাথ সাউয়ের ক্যারিয়ার যেন তিনি বাঁচান। । গোটা চিঠিতে কোথাও উপাচার্যের নাম উল্লেখ করা না হলেও পরিস্থিতি যা তুলে ধরা হয়েছে তা উপাচার্যের বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই যায়।