আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের নামে সামরিক অভিযান শুরু করেছে আজারবাইজান। অভিযানে দুই বেসামরিক নাগরিকসহ ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, আর্মেনিয়ার (বিচ্ছিন্নতাবাদী) সশস্ত্র বাহিনী আত্মসমর্পণ ও অস্ত্র না ছাড়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আজারবাইজান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার শুরু হওয়া আজারবাইজানের এই অভিযানে ২৯ জন বেসামরিক নাগরিকসহ ১৩৮ জন আহত হওয়ার খবর রয়েছে।
এছাড়া কারাবাখে বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ান বাহিনীর দখল থেকে ৬০টির বেশি সামরিক অবস্থানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার হামলা শুরু করার পর এই সাফল্য তারা লাভ করেছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনর ইভাজভ বলেন, ‘৬০টির বেশি আর্মেনিয়ান (বিচ্ছিন্নতাবাদী) সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিট এখন আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর নিয়্ন্ত্রণে।’
নাগারনো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক জাতিগত আর্মেনিয়ান এবং খ্রিস্টান। আর্মেনিয়ান সরকারের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে একবার এবং ২০২০ সালে আরেকবার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়। তিন বছর আগে আজারবাইজান নাগারনো-কারাবাগের বিশাল এলাকা দখল করে নেয়। পরে রাশিয়ার তদারকিতে সেখানে যুদ্ধবিরতি হয়।
আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিটমহল নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে কয়েক মাস ধরে দু’দেশের মাঝে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি বিতর্কিত ওই ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য এক ঘটনায় আজারবাইজানের পুলিশ সদস্যসহ ১১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।