একটু ছুটি পেলেই যারা অপেক্ষায় থাকেন ভ্রমণের জন্য, তাদের কাছে শীত, গ্রীষ্ম এমনকি বর্ষার সময়কেও কিছু মনে হয় না। এদেরকেই বলা হয় ভ্রমণপিয়াসু মানুষ। অনেকেই হয়তো এরই মধ্যে ভ্রমণে বেরিয়ে গেছেন, কেউ বা পরিকল্পনা করছেন কোথায় যাবেন, কী কী দেখবেন। যেখানেই যান বা যা কিছুই দেখুন ভ্রমণে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকুন। তা না হলে আপনার ছোটখাট অসতর্কতা আপনার এত দিনের ভ্রমণের অপেক্ষার আনন্দ মাটি করে দিতে পারে।
ভ্রমণের সময় খেয়াল রাখুন—
ভর পেটে ভ্রমণ করবেন না
কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হলে বাস অথবা ট্রেন ছাড়ার আগে খুব ভর পেটে খাবার খাবেন না। যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে, তাদের খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু বেছে খেতে হবে। আলু জাতীয় খাবার অথবা নারকেল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এক্ষেত্রে আপনি হালকা তেল অথবা কম মসলা যুক্ত খাবার খেতে পারেন।
বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করুন
চেষ্টা করবেন বমি ভাব হলে বাসে অথবা ট্রেনের জানালার কাছে বসতে। বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বমি ভাব কম হয়।
চলমান কিছুর দিকে তাকাবেন না
আমরা অনেকে ভ্রমণের সময় চারপাশ দেখতে দেখতে যাই। কিন্তু ভ্রমণের সময় চলমান কিছুর দিকে তাকাতে থাকলে বমি ভাব আসতে পারে। তাই বাসের সিটে বসে একটানা চলমান কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকবেন না।
গাড়িতে/বাসে যেখানে কম ঝাঁকুনি অনুভব হয় সেখানে বসুন
অনেক সময় দেখা যায় বাসের পেছনের সিটে বসেছেন। ঝাঁকুনিতে পুরো রাস্তা জার্নি করে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই টিকিট করার আগে অবশ্যই দেখে নেওয়া ভালো বসার সিটটা কোথায় পেয়েছেন।
বই অথবা মোবাইল স্ক্রিনের মতো চক্ষু উদ্দীপক পরিহার করুন
ভ্রমণের সময় অনেকে সময় কাটাতে গল্পের বই পড়েন। আবার অনেকে মোবাইল ফোন ব্রাউজ করতে থাকেন। তাই ভ্রমণে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।
ধূমপান থেকে বিরত থাকুন
ভ্রমণের আগে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। কারণ ধূমপানের জন্য বাসে পাশের সিটে বসা ব্যক্তি বিরক্ত হতে পারে। আপনিও যে কোনো সময় অসুস্থ হতে পারেন।
শুকনা খাবার খান
খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না। একদম শুকনা খাবার খান। আর সাথে হালকা খাবার রাখুন। আর অবশ্যই পানির বোতল সাথে নেবেন।
বমি ভাব হলে হাতের রগে হালকা চাপ দিন
বমি ভাব আসলে হাতের রগে হালকা চাপ দিন। আসতে আসতে বমি ভাব কমে যাবে।
বমির ওষুধ গ্রহণ করুন
যাদের খুব সমস্যা হয় ভ্রমণ করতে, তাদের অবশ্যই বমির ওষুধ খেয়ে নিতে হবে। আর সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন।