সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সহজ লক্ষ্য পেতে পারত বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের এক ওভারে রায়ান বার্ল ৩৪ রান তুলে চ্যালেঞ্জে ফেলেছেন সফরকারীদের। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ তুলেছে জিম্বাবুয়ে।
যে উইকেটে প্রথম ম্যাচে রানের উৎসব করেছিল জিম্বাবুয়ে, সেখানেই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে প্রতিপক্ষকে থামানো যেত আরও অল্পতেই। হারারেতে তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে বড় সংগ্রহ না পেলেও লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
নাসুমের ওভারে পাঁচটি ছয় ও একটি চার মারা বার্ল ২৮ বলে ৫৪ রান করেন। লুক জঙ্গের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩৫ রান। ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখান তারা। জুটিতে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের রেকর্ডও গড়েন। ৩১ বলের জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৭৯ রান।
ম্যাচে সাফল্যের শুরুটা নাসুমের হাত ধরেই ছিল। নিজের প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট। দেন মাত্র ৬ রান। তখন কে জানত কতটা হতাশার অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে তার সামনে।
নাসুম ব্রেক থ্রু আনার পর শেখ মেহেদী হাসানের জোড়া শিকারে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে। জিম্বাবুয়েকে একদম চেপে ধরেন টাইগার স্পিনাররা।
অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নিজের প্রথম ওভারে ১৫ রান খরচ করলেও পরে বোলিংয়ে এসে পান সাফল্য। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রথম বলেই পান উইকেট। ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। একশর মধ্যে প্রতিপক্ষকে আটকানোর সুযোগ তৈরি হয়।
কিন্তু ১৫তম ওভারে সব হিসেব বদলে যায়। অল্পের জন্য হয়নি ওভারে ৬ ছক্কার রেকর্ড। হাসান মাহমুদ দুটি ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি উইকেট তুলে শেষে খুব বেশি দূর যেতে দেননি জিম্বাবুয়েকে।
খেলা হচ্ছে সিরিজের প্রথম ম্যাচের উইকেটে। যেখানে ২০৫ রান তুলে ১৭ রানে জয় পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
সিরিজ নির্ধারণী টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপেনার সুযোগ পাওয়ায় বাদ পড়েছেন মুনিম শাহরিয়ার।