মনসুর আহম্মেদ, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাহাড়িদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিনশ’ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে সাতজনকে আটকও করেছে পুলিশ।
শনিবার এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি অব্যাহত রেখেছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
লংগদু উপজেলার ওসি মোঃ মোমিনুল ইসলাম বলেন, পাহাড়িদের ঘরে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনশ’ অজ্ঞাতনামা অাসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এরই মধ্যে সাতজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়ি গ্রামের লোকজন এলাকা ছেড়ে এখন ধর্মীয় উপাসনালয় বনবিহারসহ বিভিন্ন এলাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা সকলে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।
পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে জানিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তফাজ্জল হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়ি মানুষদের ঘর বাড়ি নির্মাণসহ তাদের সহায়তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদরের চারমাইল এলাকায় রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন সকালে মোটরসাইকেলে দু’জন যাত্রী নিয়ে তিনি লংগদু থেকে খাগড়াছড়ি যাচ্ছিলেন।
বাঙালিদের অভিযোগ, তাকে পাহাড়িরা হত্যা করেছে। তবে পাহাড়িরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে পাহাড়িদের কয়েকশ’ ঘর পুড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান এক বৃদ্ধা।