বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে শুধু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারেই কমপক্ষে ৬০ হাজার পরিবারের এক লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বুধবারের মধ্যেই ত্রাণ পৌঁছানোর কথা জাানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড- বাঁশখালি আনোয়ারা কর্ণফুলি মিরেরসরাইসহ প্রায় ৫ হাজার পরিবারে ১৪হাজার ২শ ৫০জন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ২হাজার ৭শ ৪৫টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধবস্ত এবং ২হাজার ৫শ ৯৬টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রবল বর্ষণ অব্যহত থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারের বেশির ভাগ এলাকার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সরকারি হিসাবে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ৫২ হাজার ৫শ৩৯ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এরমধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ হাজার ২৩টি পরিবার, আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩৫ হাজার ৫শ ১৬টি পরিবার। গাছের নিচে ছাপা পড়ে ৪ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৬০জন।
রামুতে প্রায় ৩০ একর, উখিয়ায় ৪শ২ একর, টেকনাফে ১হাজার ৩শ ৮২ একর ও মহেশখালীতে ১ হাজার ৪শ ৮১ একর জমির ফসল ও পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার ভোরে উপকুলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৭জনের মৃত্যু হয়।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: