বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বরিশালে ফিরে এসে নগরীর কাশিপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সকলেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় কাশিপুরের পেট্রোল পাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফাইজুল ইসলাম, আশিক, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, ফরহাদউদ্দিন, মাহাদি, মাসুদ, হাসান, তুহিন, রাহাত এর নাম জানা গেছে।
নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরান মোল্লা জানান, টুঙ্গীপাড়ায় খাবার দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। তারা কাশিপুর পেট্টোল পাম্পে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। কে কোন পক্ষের তা তিনি জানেন না।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোঃ হেলালউদ্দিন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিয়াজ ভুইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষ মারামারি করেছে। উভয় পক্ষের আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে কোন অনুসারীর বিষয় নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি কাউন্সিলরসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে টুঙ্গীপাড়ায় যায়। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেন।
এ বহরে নিজের পক্ষের লোকবল বাড়াতে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন নগরীর কাশিপুর এলাকা থেকে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে করে নিয়ে গেছেন। টুঙ্গীপাড়া এলাকায় তাদের সাথে তর্ক হয় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ানের অনুসারী মাহাদির।
পরে জসিম উদ্দিনের সাথে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নগরীর কাশিপুর সুরভী পেট্রোল পাম্প এলাকায় এসে অবস্থান নেয়। অসীম দেওয়ানের অনুসারীরা সেখানে এসে পৌঁছালে তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
অসীম দেওয়ান অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল জানান, কাশিপুর এলাকা পৌঁছালে আচমকা আশপাশ থেকে বাসের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একদল অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা লাঠিরড নিয়ে হামলা চালায়। তারা এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে সবাইকে আহত করেছে। এ মহুর্তে ১৩/১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এর মধ্যে রাহাতের অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১৫ জন হাসপাতালের সার্জারী ও অর্থপেডিক্স ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত রয়েছেন।