নাটোরে গরুর ব্যাপারীকে হত্যা এবং অপর গরুর ব্যাপারীদের জিম্মি করে ১৪ লাখ ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও লুটকৃত চার লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার ২ জুলাই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান এসব তথ্য জানান। নিহত গরুর ব্যাপারী শহিদুল ইসলাম বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার নিজকলাইল গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলেন- মো. ইনসানুল (২৭), মো. আরিফ (২৫), মো. মিঠুন (২৮), মো. শাহ আলম (২৪), মো. রুবেল (৩২), মো. সোহাগ (২৫), মো. সুজন (৩০), মো. রেজাউল (৩৫) এবং মো. রসুল (৩২)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সাইফুর রহমান জানান, গত ২৫ জুন বাড্ডা অফতাবনগর থেকে তিনজন গরুর ব্যাপারীকে বগুড়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ত্রিপলবেষ্টিত ট্রাকে তুলে নেয় ট্রাকের হেলপার ও চালক। পথে চান্দুরা এলাকায় ট্রাকের মধ্যে যাত্রীবেশে থাকা ডাকাতরা তাদের হাত-পা ও মুখ বেধে ফেলেন। তিনজন গরুর ব্যাপারীর টাকা ছিনিয়ে নিতে থাকেন।
তিনি জানান, এদের মধ্যে গরুর ব্যাপারী শহিদুল ইসলাম বাধা দিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তাদের কাছে থাকা ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে নাটোর হাটিকুমুরল সড়কে একপর্যায়ে মান্নান নগর হতে চাটমহরগামী রাস্তার হান্ডিয়াল ভাঙ্গা ব্রিজের কাছে শহিদুলের মৃতদেহ ফেলে দেয়। অপর ভিকটিম নুরে আলম, রেজাউল করিম ও ইউনুসকে আগ্রান ফিলিং স্টেশনের কাছে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
এঘটনায় বগুড়া জেলা রসারয়িাকান্দি থানার নিজবলাইল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে নুরে আলম বড়াইগ্রাম থানায় গত ২৮ জুন একটি মামলা করেন। এরপর নাটোর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিশ্বস্ত সোর্সদের দেয়া তথ্যানুযায়ী নাটোর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৯ সন্দেভাজনকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী একটি ট্রাক, লুণ্ঠনকৃত টাকার মধ্যে হতে চার লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল উদ্ধার করে।