মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি’র) ১০৩ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
রোববার থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিজিপি’র ৫৮ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পালিয়ে আসেন। এদের মধ্যে জানি মং ও নিমলাইন নামের দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ৪ জনকে উখিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বিজিপি’র ৭৮ সদস্য।
এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশি নারীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহত বাংলাদেশি নারীর নাম হাসিনা বেগম। নিহত অন্যজন রোহিঙ্গা যুবক বলে স্থানীয়দের ধারণা ।
চলমান পরিস্থিতিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বাড়ানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।