হাজারও নতুন ছবির ভিড়েও কিছু পুরোনো ছবি তার আবেদন হারায় না। একাধিক বার দেখতেও বিরক্ত লাগে না সেসব ছবি। প্রতিবারই প্রথমবারের মতোই আনন্দ দেয় ছবিগুলো। তেমনই দশ ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে ফিচারটি। দশ হাজার মানুষের ভোটে নির্বাচিত ছবি নিয়ে তালিকাটি তৈরি করেছে স্ক্রিনর্যান্ট:
ফরেস্ট গাম্প(১৯৯৪): ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন আমেরিকান নির্মাতা রবার্ট জেমেকিস। ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবিটি দর্শকের মনে গেঁথে আছে এখনো। ছবিতে একজন কম বুদ্ধিসম্পন্ন লোকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস। আইকিউতে অন্য দশজনের তুলনায় কম। মায়ের দেখানো সহজ সরল সাজানো পথে জীবন সাজাতে চান তিনি। তার একমাত্র বন্ধু জেনি। একসময় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ফরেস্ট। তারপর বছরের পর বছর চলে যায়। কিন্তু কোন কিছুই ফরেস্টকে আলোড়িত করে না। আলোড়িত করেন কেবল জেনি। একসময় ভালোবাসায় ধরা না দিতে দিতে ভালোবাসারই জয় হয়।
টয় স্টোরি (১৯৯৫): ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স ও পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওজের অ্যানিমেশন কমেডি ছবি এটি।। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জন ল্যাসেটার। ছবিতে মানুষের অনুপস্থিতিতে খেলনারা প্রাণ ফিরে পায়। শেরিফ উডি চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন টম হ্যাঙ্কস এবং বাজ লাইটইয়ারের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন টিম অ্যালেন।
রেইডার্স অব দ্য লস্ট আর্ক (১৯৮১): ফ্যান্টাসি অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’ সিরিজের প্রথম ছবি ‘রেইডার্স অব দ্য লস্ট আর্ক’। ছবিটি দর্শকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
ঘোস্টবাস্টার্স (১৯৮৪): বিল মুরে অভিনীত আশির দশকের বিখ্যাত ঘোস্টবাস্টার্স। ছবিতে বিল মুরে তার দল নিয়ে ভূত ধরে বেড়ান।
জুরাসিক পার্ক (১৯৯৩): স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র ‘জুরাসিক পার্ক’-এ ক্লোন পদ্ধতিতে তৈরি করা ডাইনোসরের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আইলা নুবলার দ্বীপে একটি বিনোদন পার্ক গড়ে তোলে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে কিছু ডাইনোসর খাঁচা ভেদ করে বাইরে চলে আসে। বিজ্ঞানী ও কলাকুশলীরা ডাইনোসরের হাত থেকে বাঁচার জন্য দ্বীপ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ নিয়েই জুরাসিক পার্কের কাহিনী গড়ে উঠেছে।
ব্যাক টু দ্য ফিউচার (১৯৮৫): ব্যাক টু দ্য ফিউচার একটি কমেডিধর্মী বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন রবার্ট জেমেরিকস এবং প্রযোজনা করেছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। মূল চরিত্র মার্টি ম্যাকফ্লাই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাইকেল জে ফক্স আর বিজ্ঞানী চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস্টোফার লয়েড।
শশাঙ্ক রিডেম্পশন (১৯৯৪): ফ্র্যাংক ড্যারাবন্ট পরিচালিত দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশনে অভিনয় করেছেন টিম রবিন্স, মরগান ফ্রিম্যান, বব গান্টন, উইলিয়াম সেডলার, ক্ল্যান্সি ব্রাউন, গিল বেলোস, জেমস হুইটমোর প্রমুখ। ছবিতে একজন ব্যাংকারের গল্প বলা হয়, যিনি তার পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করার দায়ে শশাঙ্ক স্টেট প্রিজনে সাজা ভোগ করেন।
ডাই হার্ড (১৯৯৮): লেন ওয়াইজম্যান পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ব্রুস উইলি এবং অ্যালান রিকম্যান। বড়দিনের পার্টির সময় এক এনওয়াইপিডি অফিসারের স্ত্রী এবং আরও কয়েকজনকে বন্দি করে জার্মান সন্ত্রাসীরা। অফিসার তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা করে।
হোম অ্যালোন (১৯৯০): আমেরিকান কমেডি চলচ্চিত্র হোম অ্যালোন পরিচালনা করেছেন ক্রিস কলম্বাস। চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র ম্যাকোলে কুলকিন অভিনয় করেন কেভিন ম্যাককালিস্টার চরিত্রে। বড়দিনের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার সময় ভুলবশত কেভিনকে বাড়িতে রেখে সবাই চলে যায়। এরপর ঘটে একের পর এক ঘটনা।
ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড (১৯৮৯): হ্যারিসন ফোর্ড এবং শন কনারি এই ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিক ছেলে ইন্ডিয়ানা জোনস জুনিয়র এবং তার বাবার ইন্ডিয়ানা জোনস সিনিয়র চরিত্রে। ইন্ডিয়ানার বাবাকে নাজিরা বন্দী করে। ছবিতে ইন্ডিয়ানার সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে।