মার্কিন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয় অস্কারকে। অস্কার একজন শিল্পীকে এনে দিতে পারে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি। তবে এমন অনেক অভিনেতা আছেন, বিশ্বজুড়ে যাদের জনপ্রিয়তার কোনো কমতি না থাকলেও ভাগ্যে জোটেনি কোনো অস্কার। তেমনই দশ জনকে নিয়ে এই ফিচার-
হ্যারিসন ফোর্ড: হলিউডের সবচেয়ে সফল তারকাদের একজন হ্যারিসন ফোর্ড। ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ তাকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিলেও অস্কারের খাতায় হ্যারিসন ফোর্ডের নাম উঠেছে মাত্র একবার। হ্যারিসন ফোর্ড তার ক্যারিয়ারের একমাত্র অস্কারের মনোনয়ন পান ১৯৮৬ সালের থ্রিলার মুভি ‘উইটনেস’এর জন্য। সেবছর ফোর্ডকে হারান ‘কিস অফ দ্য স্পাইডারওম্যান’-এর অভিনেতা উইল হার্ট।
রিচার্ড বারটন: বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী অভিনেতাদের একজন রিচার্ড বারটন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত এই অভিনেতা অস্কারে সাতটি মনোনয়ন পেয়েছেন, যার মাঝে ছয়টিই সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে। একটি ছিল সেরা সহ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে। কিন্তু একটি অস্কারও জেতেনি অভিনেতার ভাগ্যে।
রবার্ট রেডফোর্ড: সত্তরের দশকে বক্স অফিস কাঁপিয়েছেন রবার্ট রেডফোর্ড। কোনো এক অজানা কারণে একাডেমির যেন রেডফোর্ডকে চোখেই পড়তো না। তিনি অভিনয়ের জন্য অস্কারে মাত্র একবার মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু জেতেননি। তবে এই অভিনেতা অস্কার জিতেছিলেন পরবর্তীতে। তবে অভিনয়ের জন্য নয়, ‘অর্ডিনারি পিপল’ নির্মাণের জন্য সেরা নির্মাতা হিসেবে।
জনি ডেপ: হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন জনি ডেপ। সবসময়েই থাকেন আলোচনায়। চরিত্রের সাথে মিশে গিয়ে অভিনয় করেন। কিন্তু এই অভিনেতাদের কপালে জোটেনি অস্কার। ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’-খ্যাত এই অভিনেতা তিনবার মনোনীত হয়েও জিততে পারেননি একবারও।
পিটার ও’টুল: আইরিশ বংশোদ্ভূত হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা পিটার ও’টুল। ১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউডি সিনেমা ‘লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া’তে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি পান ও’টুল। ওই চলচ্চিত্রেই তিনি অভিনয়ের জন্য প্রথম অস্কার নমিনেশন পান। পুরো ক্যারিয়ারে সেরা অভিনেতা হিসেবে ৮বার মনোনয়ন পেয়েও অভিনেতার ভাগ্যে জোটেনি একটি অস্কারও।
এডওয়ার্ড জি. রবিনসন: হলিউডে এডওয়ার্ড জি. রবিনসনের যেই পর্দা কাঁপানো পারফর্মেন্স, তাতে অন্তত আধা ডজন অস্কার মনোনয়ন পাওয়ার কথা অভিনেতার। কিন্তু অস্কারে একবারও মনোনয়ন না পেয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে হয়েছে এই অভিনেতাকে।
মন্টগামারি ক্লিফট: ২০-এর দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মাঝে অনেকগুলোই মন্টগামারি ক্লিফটের। অনবদ্য অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জিতে নিয়েছিলেন তিনি। অস্কারে চারবার মনোনয়ন পেয়েও একবারও অস্কার জেতেননি অভিনেতা।
কার্ক ডগলাস: ছয় দশকের ক্যারিয়ারে ৯৫টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ডগলাস। অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন মাত্র তিনবার, জেতেননি একবারও।
রবার্ট মিচাম: ওয়েস্টার্ন ঘরানার ছবির জন্য প্রসিদ্ধ মিচাম। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে খলনায়কদের অগ্রদূত ছিলেন তিনি। । তিনি তার অভিনীত ‘আউট অব দ্য পাস্ট’ (১৯৪৭), ‘দ্য নাইট অব দ্য হান্টার’ (১৯৫৫) ও ‘কেপ ফিয়ার’ (১৯৬২) চলচ্চিত্রের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। ‘দ্য স্টোরি অব জি.আই. জো’ (১৯৪৫) ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন। কিন্তু অস্কার জেতেননি।
ক্যারি গ্র্যান্ট: ক্লাসিক হলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা ক্যারি গ্র্যান্ট একটিও অস্কার জেতেননি। ক্যারিয়ারে মাত্র দুই বার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন এই অভিনেতা।-সিবিআর