জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে “ইকুইটেবল এন্ড সাস্টেইনেবল ওয়াশ সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ ডেল্টাপ্ল্যান হটস্পট ২০২২-২০২৬” শীর্ষক প্রকল্প।২০২২ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় এক বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ।
এই প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং আগামীর পথচলার নানা দিক নিয়ে আলোচনার জন্য আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে প্রকল্পের বার্ষিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে, ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি এবং আই আর সি নেদারল্যান্ডস এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করেছে। ১ হাজার ১২৯টি নিরাপদ পানির উৎস স্থাপনের জন্য স্থানীয় মানুষদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে ৭ হাজার ৮০ টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি বরেন্দ্র, উপকূলীয়, হাওর এবং বন্যা কবলিত এলাকায়। এসব অঞ্চলের ১৪টি জেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম চলছে। এই জেলাগুলো হচ্ছে, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের আইডিপি এবং ওয়াশের পরিচালক হোসেন ইশরাত আদিব এবং একটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যালচেঞ্জ এর কর্মসূচি প্রধান এস. এম. মনজুর রশীদ। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (আইডব্লিউআরএম) সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার ড. মো. শিবলী সাদিক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এইচ এম খালেকুর রহমান, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের এডভোকেসি এন্ড ক্যাম্পেইন লিড এডভোকেট ফাইয়াজউদ্দিন আহমদ এবং আই আর সি’র ইনোভেশন লিড ইঙ্গেবর্গ ত্রুকার্ট।