বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক জনসভা মাঠে মারামারির ঘটনায় সিরাজ সিকদার (৫৯) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সিরাজ হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের অনুসারী বলে জানা গেছে। তবে নিহত সিরাজকে শাম্মীর অনুসারী বলেও দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভার মাঠে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ-এর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ- এর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকছিল। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া শাম্মী অনুসারীরা তাদের লক্ষ করে বোতল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় দুপক্ষের হাতাহাতি হয়। তখন তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিরাজসহ ১৮ জনকে আহত করেন। তখন মারামারির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বলেন, আমার লোকজন যখন জনসভা মাঠে প্রবেশ করে তখন হামলা হয়েছে। জনসভা মাঠে লাঠি ও রড কোথায় পেল? পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তবে শাম্মী আহম্মেদ বলেন, সিরাজ কৃষক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কোনো লোক তার (পঙ্কজ) সঙ্গে নেই। আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে সিরাজ নিহত হয়েছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কামরুজ্জামান তুহিন বলেন, একজনকে নিয়ে এসেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবুও সন্দেহের কারণে আমরা লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, সিরাজকে যিনি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তিনি জানিয়েছেন, জনসভার মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।