
জাহিদ হাসান: নেত্রকোনার সদর ও কলমাকান্দা উপজেলায় আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে এক মৎসজীবী মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো একজন। ঝড়ে আটটি ইউনিয়নের প্রায় তিনশ কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে উপজেলার অনেক স্থান বিদ্যুৎসংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গাছপালার।
সোমবার ৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে এ ঝড় হয় বলে জানান স্থানীয়রা। কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নে মাছ শিকারে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) নামের এক মৎস্যজীবী মারা গেছেন । পোগলা ইউনিয়নের বেখুরিকান্দা শুনই গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে। এছাড়া সোনাডুবি বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন অনিল দাস নামের আরেক মৎস্যজীবী। তিনি কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত ঈশ্বর দাসের ছেলে।
পোগলা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, ৮ জন মৎস্যজীবী বেখুরিকান্দা শুনই গ্রামের পাশের বিলে মাছ ধরতে যান। পরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে আব্দুল কুদ্দুস নিখোঁজ হন, পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেসময় নিখোঁজ হন নিখিল দাস। তবে ওই নৌকায় থাকা অন্য ৬ মৎস্যজীবী সাঁতরে বিলের পাড়ে উঠতে সক্ষম হন।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, ঝড়ে বেশ কিছু এলাকায় প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহত জেলে আব্দুল কুদ্দুস-এর পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।

কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) তাপস দেবনাথ বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। খুব শিগগিরই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
ঝড়ে নেত্রকোণা সদর উপজেলার ১১ নং কালিয়ারা গাবড়া গাতি ইউনিয়নেও বাড়িঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয় তাবাসুম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, গাতি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ গ্রামের ২ শতাধিক কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্তে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষনণকভাবে সেখানে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর পুর্নবাসনের জন্য ঢেউটিন-এর চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন