ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নিয়ে আমেরিকার দীর্ঘদিনের নীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র প্রথম বৈঠকের পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্য ‘সেরা’ শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, শান্তির জন্য ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে।২০১৪ সালের পর শান্তি নিয়ে বাস্তব কোন আলোচনাই হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে নতুন ইহুদি বসতি স্থাপন কার্যক্রম থেকে কিছুটা ক্ষান্ত হতে নেতানিয়াহুকে অনুরোধ জানান।তবে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই জেরুজালেমের পশ্চিম উপকূলে ও পূর্ব জেরুজালেমে হাজারখানেক নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন করে ইসরায়েল।
এ বৈঠকের আগে দেশ দুটির মধ্যে চলমান বিরোধ নিরসনে মার্কিন নীতিতে হোয়াইট হাউস বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘদিনের নীতি দুই-রাষ্ট্র সমাধান থেকে সরে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রচেষ্টায় আর কোনো শর্ত বা উপায় বলে দিতে চায় না। বরং আশা করে, দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাবে।
“কারণ দুই-রাষ্ট্র সমাধান শান্তি আনতে পারছে না। শান্তিই কাম্য। তা দুই-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে আসুক বা ভিন্ন কোনো উপায়ে, দুই পক্ষ একমত হলেই হলো।”
এ বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, আমিও এর স্থায়ী সমাধান চাই।তবে শান্তির পূর্ব দুটি শর্ত জুরে দেন। প্রথমত, ফিলিস্তিনকে অবশ্যই ইহুদি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের নিরাপত্তার কর্তৃত্ব ইসরায়েলের কাছে থাকবে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের নীতি পরিবর্তনের আভাসে হতাশা ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী পরিষদের সদস্য হাসান আশরাওয়ি বলেন, ‘এর কোনো মানে হয় না। এটা কোনোভাবে যৌক্তিক নীতি হতে পারে না।’