চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চুরাশি বছর বয়সে অনাবিল বসন্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় এসেছেন রওশন আরা। বসন্ত উৎসবে মাথায় ফুলের মুকুট, গায়ে বাসন্তি পোশাক, মুখে আবির মাখিয়ে রিকশা চড়ে এলেন। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে, মেয়ের জামাই এবং নাতনী। তার চওড়া হাসি যেনো বলে দেয় ‘বসন্ত এসে গেছে’।

হাজারো নারীর ভিড়ে ৮৪ বছরের রওশন আরার সঙ্গে কথা বলার লোভ সামলানো গেল না।তার কাছে গিয়ে যখন জানতে চাইলাম  ‘কেমন লাগছে’, দীর্ঘ হাসি দিয়ে বললেন, ‘খুব ভালো।’

রওশন আরার সঙ্গে আসা মেয়ে কানিজ নাছরীন বলেন, তার মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তিনি নিজেও পড়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন তার মেয়ে এবং রওশন আরার নাতনীরা পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে মা ও নানীর মতো রোকেয়া হলে থাকেন অদৃতা ও অর্থী। কানিজ বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে এবার  বসন্ত উৎসব কাটিয়েছি।

এর কারণ হলো  মা আমাদের হাতে ধরে প্রথম মেলায় নিয়ে গেছেন। সমাজে মনে করা হয় বয়স্ক মানুষ মানেই নিজেকে গুটিয়ে নেয়া। বয়স মানেই ঝরা পাতা। তাদের মনে রঙ নেই। এই ধারণাটি ভুল প্রমাণ করে দিলেন এই ভদ্রমহিলা। কেননা আমাদের মনে উনারাই রঙের সূচনা করেন। তাহলে কেন উনাদের প্রতি আমাদের মিথ্যা অভিমান? ঘরের কোণে তাদের রেখে আনন্দ করলে সেই আনন্দের পূর্ণতা পায় না।’

এই ঘটনা গোচরে এনে জানতে চাইলে সলিমুল্লাহ কলেজের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক কানিজ নাছরীন বলেন, বয়স্কদের বৃদ্ধনিবাসে না রেখে সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোয় সম্পৃক্ত করা উচিৎ।

ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন