সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য ৮ম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর তাকে সরকারি চাকারিতে নতুন শ্রেণী বৈষম্য সৃষ্টির জন্য আমলাদের গভীর চক্রান্ত বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ (বাসসকপ)।
মঙ্গলবার রাতে ৮ম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পরপরই সংগঠনটির এক জরুরী সভায় বলা হয়, প্রচলিত প্রথা ও বিধি-বিধান লংঘন করে গণতান্ত্রিক সরকারকে বিব্রত করতেই অামলারা এ ব্যবস্থা চালু করেছে।
সভায় ক্যাডার-নন ক্যাডারদের বৈষম্য কমার পরিবর্তে আরো বৃদ্ধি করায় গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়। এ বৈষম্য দূর করতে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনার পাশাপাশি সংশোধিত বেতন কাঠামোও দাবি করেন।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাসসকপ মহাসচিব মো. জিন্নাত আলী বিশ্বাস ও সভাপতি মো. শফিউল আজম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নন ক্যাডার কর্মকর্তারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় অভিন্ন প্রারম্ভিক বেতন স্কেলে যোগ দিয়ে আসছেন। গত ৪৪ বছরে ৭টি বেতন কাঠামোতে এ ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হয়নি। যা করা হয়েছে ৮ম বেতন কাঠামোতে।
এতে আরো বলা হয়, ঘোষিত বেতন কাঠামো মানবাধিকারের লংঘন ও সংবিধান পরিপন্থী। পাশাপাশি তা দেশের সকল ননক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য মানহানীকর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাড়ে ৩ লাখ নন ক্যাডার কর্মকর্তারা জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ অর্জনে মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ২২ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষিত বেতন কাঠামোতে বিদ্যমান অসংগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।