ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে আগামী ৭ মে দ্বিতীয় দফায় ‘রানঅফ’ ভোটের জন্য লড়বেন কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মারিন লা পেন এবং ৩৯ বছর বয়সী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ।
২৩ এপ্রিল প্রথম রাউন্ড ভোটের ফলাফলে সিডনিতে ৯৬% ভোট পড়েছে। তার মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ পেয়েছে ২৩.৯% এবং নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মারিন লা পেন পেয়েছেন ২১.৪% ভোট।সুতরাং আগামী নির্বাচনের জন্য ফ্র্যান্সিস ফিলোন, জিন-লুক ম্যালেঞ্চনকে পিছনে ফেলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট লড়াই এগিয়ে রইলেন এম্যানুয়েল মাক্রোঁ।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে বেশী ভোট পাওয়া দু’জন প্রার্থী নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটকে ‘রানঅফ ভোট’ বলা হয়ে থাকে। প্রথম রাউন্ডে জয়ী হওয়ার পর এম্যানুয়েল মাক্রোঁ জন্য দ্বিতীয় রাউন্ডে বিজয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। তার বিজয়কে অনেকে ফ্রান্সের ইতিহাসের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে বিজয়ী ভাষণে তার সমর্থকদের উ্দ্দেশ্যে ম্যাকোঁ বলেন,‘আমি আশা করি আমিই আপনাদের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছি। আমি ফ্রান্সের সকল জনগণের প্রেসিডেন্ট হতে চাই, আমি সকল দেশপ্রেমিকের প্রেসিডেন্ট হয়ে সকল ধরনের জাতীয়তাবাদী হুমকি থেকে ফ্রান্সকে রক্ষা করেতে চাই।’
এদিকে হারের পর মারিন লা পেন বলেন, জনগণের জন্য প্রতিনিধি এবং ফ্রান্সের টিকে থাকা থেমে গেলে। তবে তিনি এই নির্বাচনের ফলাফলকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন।এবিষয়ে লা পেন বলন ‘যেখান থেকেই আসেন না কেন, যাহোক তাদের ওরিজিন, এবং প্রথম রাউন্ডে যাকেই ভোট দিন না কেন আমি তাদের সবাইকে আমদের সাথে আসার আহ্বান জানায়।পুরোনো সকল বিবাদকে ত্যাগ করে আমাদের দেশের জন্য কোনটা খুব গুরত্বপূর্র্ণ তা্র উপর জোর দিন।’
নির্বাচনের জনমত জরিপ বলছে, প্রথম দফা ভোটে কারো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায়, প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীকে নিয়ে ৭ মে দ্বিতীয় দফায় ‘রানঅফ ভোট’ হবে।
জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মেরকেলের মুখপাত্র ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সামজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে মুজবত করতে আগামী নিবার্চনের জন্য তাকে শুভ কামনা জানিয়ে একটি টুইট করেছেন।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জিয়ান ক্লাউডে জাঙ্কার,ম্যাকোঁকে শুভ কামনা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় বলেন, এই ফলাফল আমাদের জন্য আশা এবং ভবিষৎ।
সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ (৩৯) তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল এন মার্চে (অগ্রযাত্রা) গঠন করেন গত বছর।নিম্ন আয়ের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা ছিল এই উদারনৈতিকের। তার রাজনৈতিক মেনিফেস্টোতে সমাজতন্ত্রের অনেক বিষয়ই দেখা যায়। আর এ ধরনের আদর্শের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া এম্যানুয়েল মাক্রোঁ দেশজুড়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন। রাজনৈতিক জীবনে এখনই তুমুল সাফল্যের মুখ দেখা নেতার ব্যক্তিজীবনও কিন্তু কম আকর্ষণীয় নয়।